লোকশানের ভয়ে কেউ সিডিউল না কেনায় ফেরত যাচ্ছে প্রকল্পের ১৪ কোটি টাকা
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে অস্বচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য প্রায় ১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ৯০টি ও ১০২ টি বীরনিবাস নির্মান অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। বীরনিবাস নির্মানের জন্য মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রনালয়ের নির্দেশক্রমে দরপত্র আহবান করা হলেও বীর নিবাস নির্মান ব্যয় বাজার দরের চেয়ে কম হওয়ায় একজন ঠিকাদারও সিডিউল কেনেন নি। ফলে প্রকল্পের টাকা ফেরত যাচ্ছে বলে জানা গেছে। বীরনিবাস নির্মান না হওয়ার আশংকায় হতাশায় পড়েছেন জাতির বীরসন্তান এবং তাদের পরিবারের সদস্যগন। বুধবার (২ আগস্ট) উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় সুত্র বিষয়টি নিশ্চিত হেওয়া গেছে।
মির্জাপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সুত্র জানায়, ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে (দ্বিতীয় পর্যায়ে) মির্জাপুর পৌরসভা এবং মহেড়া, জামুর্কি, ফতেপুর, বানাইল, আনাইতারা, ওয়ার্শি, ভাতগ্রাম, বহুরিয়া, বাওড়া, রতিফপুর, গোড়াই, আজগানা, তরফপুর ও বাঁশতৈল এই ১৪ ইউনিয়নের অস্বচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা সংগ্রহ করে ৯০ জন বীর মুক্তিযোদ্ধার নামে বীরনিবাস (একতলা পাকা ভবন) নির্মানের জন্য মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রনালয় অনুমোদন প্রদান করেন।
গত ১৩ জুন ১৮ টি প্যাকেজের মাধ্যমে ৯০ জন বীর মুক্তিযোদ্ধার নামে একটি করে বীরনিবাস (পাকা ভবন) নির্মানের জন্য ওটিপি পদ্ধতিতে দরপত্র আহবান করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাকিলা বিনতে মতিন। প্রতিটি বীরনিবাসের জন্য নির্মান ব্যয় ধরা হয় ১৪ লাখ ১০ হাজার ৩৮২ টাকা। বৈশ্যিক মন্দা, ইউক্রেন যুদ্ধ এবং করোনা মহামারীর কারনে মালামালের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় বর্তমান বাজার মুল্যে একটি বীরনিবাস নির্মান ব্যয় এসে দাড়ায় প্রায় ২৭ লাখ টাকা।
গত ৫ জুলাই ছিল ৯০ বীরনিবাস নির্মানের জন্য সিডিউল ড্রপিংয়ের শেষ সময়। ড্রপিংয়ের শেষ দিনেও লোকসানের ভয়ে কোন ঠিকাদার সিডিউলও ড্রপিং করেননি। ফলে ৯০ বীরনিবাস নির্মানের জন্য প্রকল্পের প্রায় ১২ কোটি ২৬ লাখ ৯০ হাজার টাকা ফেরত যাচ্ছে। অনিশ্চিত হয়ে পরেছে বীরনিবাস নির্মান কাজ। বিপাকে পড়েছেন অস্বচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তার পরিবারের সদস্যগন।
অপর দিকে ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে (প্রথম পর্যায়ে) মির্জাপুর পৌরসভা এবং ১৪ ইউনিয়নের ১২ জন অস্বচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধার জন্য এক কোটি ৬৯ লাখ ২০ হাজার টাকা ব্যয়ে ১২ টি বীরনিবাসের নির্মান কাজ শুরু হলেও এ বীরনিবাস এখন পর্যন্ত সমাপ্ত হয়নি।
প্রতিটির জন্য নির্মাণ ব্যয় ছিল ১৪ লাখ ১০ হাজার টাকা। মালামালের দাম বৃদ্ধির কারনে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান বিপুল অংকের টাকা লোকসানের মধ্যে পড়েছেন। প্রকল্পের টাকা বৃদ্ধির জন্য ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাসহ উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের নিকট আবেদন করেছেন।
এ ব্যাপারে মির্জাপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আশরাফুজ্জামান বলেন, দ্বিতীয় পর্যায়ে ১৮ টি প্যাকেজের মাধ্যমে ৯০ বীরনিবাস নির্মানের জন্য দরপত্র আহবান করা হলেও লোকসানের ভয়ে কোন ঠিকাদার সিডিউল ক্রয় করেননি এবং ড্রপিংয়ে অংশ গ্রহন করেনি। ফলে প্রকল্পের কাজ অনিশ্চিত হয়ে পরেছে। বীরনিবাস নির্মান কাজ শেষ করতে হলে প্রকল্পের টাকা বৃদ্ধির জন্য উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের নিকট তিনি অনুরোদ করেছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাকিলা বিনতে মতিন বলেন, সরকারী নির্দেশনা এবং মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রনালয়ের নির্দেশক্রমে বীরনিবাস নির্মানের জন্য দরপত্র আহবান করা হয়েছিল। কিন্ত মালামালের দামবৃদ্ধিসহ বৈশ্যিক মন্দার কারনে কোন ঠিকাদার সিডিউল ক্রয় করেনি। প্রতিটি বীরনিবাস নির্মান ব্যয় বাড়ানোসহ প্রকল্পের টাকা বরাদ্ধের জন্য জেলা প্রশাসকসহ উর্ধ্বতন কতৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
(ছবি সহ ভেতরের পাতা)
বি ০৪.
দৌলতপুরে সাবেক খাদ্য প্রতিমন্ত্রী মৃত্যুবার্ষিকী পালিত
ভেড়ামারা (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি: কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলা জাতীয় পার্টির আয়োজনে গতকাল বুধবার বিকাল ৫টার সময় উপজেলা জাতীয় পার্টির প্রধান কার্যালয়ে সাবেক খাদ্য প্রতিমন্ত্রী কোরবান আলীর ৭ম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উপজেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক আব্দুর সাত্তারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথি ছিলেন, জাতীয় পার্টি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও কুষ্টিয়া জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার জামিল জুয়েল।
বিশেষ অতিথি ছিলেন, কুষ্টিয়া জেলা জাতীয় পার্টির সহ সভাপতি পারভেজ মাজমাদার, কাজিম উদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম চাঁদু, আব্দুল্লাহ আল মামুন পেয়ার, কুষ্টিয়া জেলা জাতীয় তরুন পার্টির আহ্বায়ক জাহিদুল ইসলাম বাপ্পি, উপজেলা যুব সংহতির সভাপতি নূর আলম, সাধারণ সম্পাদক নূরুন নবীন, জাতীয় ছাত্র সমাজ দৌলতপুর উপজেলার সভাপতি শাহাজাদা, চিলমারীর ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সভাপতি জহুরুল হক, আড়ীয়া ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সভাপতি সাইদুল ইসলাম, আদাবাড়ীয়া ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফারুক হোসেন, পিয়ারপুর ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক সহ আরো উপস্থিত ছিলেন ১৪ ইউনিয়নের নেতা কর্মী।
প্রধান অতিথি ও অন্যান্য বক্তারা আলোচনা সভায় কোরবান আলীর রাজনৈতিক জীবন নিয়ে স্মরণ করেন, তারা বলেন সাবেক খাদ্য প্রতিমন্ত্রী কোরবান আলী ছিলেন আমাদের জন্য আদর্শ। কোরবান আলীর আদর্শ বুকে ধারন করে আমরা জাতীয় পার্টি করে আসছি। আগামী দিনে জনবন্ধু জি এম কাদেরের হাত কে শক্তিশালী করতে আমরা মাঠে আছি থাকবো ইনশাআল্লাহ।
এ সময় প্রধান অতিথি শাহরিয়ার জামিল জুয়েল আর বলেন, টাকা থাকলে এমপি মন্ত্রী হওয়া যায় কিন্তু দক্ষ রাজনীতিবিদ হওয়া যায় না। কোরবান আলীর স্মরণ সভায় আমাদের অঙ্গীকার হোক পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের স্বপ্নকে বাস্তবয়নের জন্য জি এম কাদেরের হাতকে শক্তিশালী করতে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করবো।
খালিদ সাইফুল, দৈনিক দেশতথ্য, ২ আগস্ট ২০২৩

Discussion about this post