মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল, মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) সংবাদদাতা: টাঙ্গাইল মহাসড়কের মির্জাপুরে বিভিন্ন পয়েন্টে চৌকি বসিয়ে আজ বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীযানবাহনে তল্লাশি করে মামলা ও জরিমানা করেছেন।
এ সময় বিভিন্ন যানবাহনের চালক এবং সাধারন যাত্রীদের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পরে। গ্রেফতার আতংকে বিএনপির নেতাকর্মীরা এলাকা ছাড়া।
আজ বৃহস্পতিবার চারজনসহ গত কয়েক দিনে বিএনপির ১৬ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত বিএনপির নেতাদের পরিবারের অভিযোগ, পুলিশ দিনে ও গভীর রাতে বাসাবাড়িতে এসে তাদের নানা ভাবে হয়রানি করছেন।
ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক ঘুরে দেখা গেছে যানবাহন শুন্য ফাঁকা রাস্তা। দু, চারটি বাস ও হালকা যানবাহন চলাচল করলেও বিভিন্ন পয়েন্টে থামিয়ে পুলিশ নানা ভাবে যাত্রীদের এবং চালকদের হয়রানী করছেন বলে অভিযোগ করেছেন সাধারন যাত্রীগন।
আজ বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) পৌর বিএনপির সাধারন সম্পাদক এ এস এম মহসীন ও মির্জাপুর থানা বিএনপির সাধারন সম্পাদক খন্দকার সালাউদ্দিন আরিফ বলেন, আগামি ১০ ডিসেম্বর রাজধানী ঢাকায় বিএনপির সমাবেশ উপলক্ষে মির্জাপুর এলাকায় অন্যায় ভাবে বিএনপির নেতাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। আজ বৃহস্পতিবার চার জন এবং গত কয়েক দিনের ব্যবধানে ব্যবধানে আরও ১২ জনসহ বিএনপির ১৬ জন নেতাকে গ্রেফতার করা করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছেন মো. আলী হোসেন খোকন, মো. মাসুদ পারভেজ, সাইফুল ইসলাম তাপস, মো. আলমাছ হোসেন, হাফিজুর রহমান, মো. ইমারত হোসেনস, রুবেল, শওকত, আলী হোসেন, আবু বকর, খোরশেদ, রাসেল, আলী হোসেন, আশিক, জাকির ও রাব্বি। এছাড়া মামলায় আসামি করা হয়েছে কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও টাঙ্গাইল জেলা কৃষক দলের আহবায়ক দিপু হায়দার খান, জামুর্কি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আলী এজাজ খান চৌধুরী রুবেল, গোড়াই শিল্পাঞ্চল ও ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও থানা বিএনপির সহসভাপতি খন্দকার আনোয়ার পারভেজ শাহআলম, বিএনপি নেতা হাবিবুর রহমান হাবিব, আরিফ হোসেন, শফিকুল ইসলাম ডিগ্রি, মোজাম্মেল হক, ফিরোজ আলম মোক্তারসহ ২৭ জনকে আসামী করা হয়েছে। অজ্ঞাত আসামী রয়েছে শতাধিক নেতাকর্মী।
এ ব্যাপারে ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক মো. লিয়াকত আলী ভুইয়া বলেন, ডিউটির অংশ হিসেবে আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের দেওহাটা এরাকায় চৌকি বসিয়ে যানবাহন তল্লাশি এবং চালকদের কাগজপত্র চেকিং করা হয়েছে। তিনটি মামলা এবং ৮ হাজার টাকা জরিমানা আদায় হয়েছে। কাউকে অন্যায় ভাবে হয়রানি করা হয়নি।
এ ব্যাপারে মির্জাপুর থানার সেকেন্ড অফিসার (এসআই) মো. মোশারফ হোসেন বলেন, আগামি ১০ ডিসেম্বর রাজধানী ঢাকায় বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে বিএনপি ও এর সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা সরকারকে উৎঘাত করার জন্য গভীর ষড়যন্ত্র ও নাশকতার চেষ্টা করে আসছিল। সু-নির্দিষ্ট অভিযোগে আসামীদের গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যায় ভাবে কাউকে হয়রানি করা হচ্ছে না বলে তিনি জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে মির্জাপুর থানা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক এমপি মো. আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী বলেন, ১০ ডিসেম্বর রাজধানী ঢাকায় বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে পুলিশ অন্যায় ভাবে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে তল্লাশির নামে যানবাহন বন্ধ করে দিয়েছে। সাধারন যাত্রীদের নানা ভাবে হয়রানী করা হচ্ছে। এছাড়া দলীয় নিরীহ নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা, বানোয়াট ও সাজানো মামলা দিয়ে গ্রেফতার করে নির্যাতন করছে। তিনি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে গ্রেফতারকৃত বিএনপির নেতাকর্মীদের অবিলম্বে মুক্তির দাবী জানিয়েছেন।
দৈনিক দেশতথ্য//এসএইচ//

Discussion about this post