নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকা-রাজশাহী-খুলনা রোডের টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে ট্রেনের যাত্রাবিরতী, কমিউটার ট্রেন চালু এবং মির্জাপুর রেল স্টেশনে অনলাইন টিকেটিং সিস্টেম চালুর দাবিতে রেলপথ অবরোধ, মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ শনিবার (১৬ নভেম্বর) কোটা সংস্কার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও মির্জাপুর উপজেলাবাসি ঢাকা-রাজশাহী-খুলনা রোডের মির্জাপুর ট্রেন স্টেশনের এ কর্মসুচী পালন করেছে।
বিকেল তিনটা থেকে পাঁচটা পর্যন্ত দুই ঘন্টা ব্যাপি এ অবরোধ, মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে শতাধিক লোকজন অংশ নেয়। এ সময় যাত্রীদের চরম দুর্ভোগের মিকার হতে হয়।
মির্জাপুর উপজেলা কোটা সংস্কার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক ইমন সিদ্দিকী ও হাবেল মৃধাসহ অন্তত ১৫ জন ভুক্তভোগি অভিযোগ করেন, মির্জাপুর ট্রেন স্টেশন একটি গুরুত্বপুর্ন।
এই স্টেশনের আশপাশে মির্জাপুর শহর, কুমুদিনী হাসপাতাল, কুমুদিনী উইমেন্স মেডিকেল কলেজ, কুমুদিনী নার্সিং কলেজ, মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজ, মহেরা পুলিশ ট্রের্নিং সেন্টার, মির্জাপুর সরকারী ডিগ্রি কলেজ, কয়েকটি জমিদারবাড়ি, গোড়াই শিল্পাঞ্চলসহ গুরুত্বপূর্ন বিভিন্ন স্থাপনা রয়েছে। প্রতিদিন শতশত যাত্রী এই ট্রেন স্টেশন দিয়ে চলাচল করে আসছে। কিন্ত মির্জাপুর ট্রেন স্টেশনে একতা, সিল্কসিটি, পদ্মা, চিত্রা, দ্রুতযানসহ অধিকাংশ ট্রেনের যাত্রাবিরতী নেই। এছাড়া কিছু দিন কমিউটার ট্রেন চালু থাকলেও রহস্যজনক কারনে এখন বন্ধ রয়েছে এবং মির্জাপুর রেল স্টেশনে অনলাইন টিকেটিং সিস্টেম চালুর কোন ব্যবস্থা নেই। ফলে দূর-দূরান্ত থেকে আসা শতশত যাত্রীদের চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে।
সমাবেশে বক্তব্য রাখে মির্জাপুর উপজেলা কোটা সংস্কার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ইমন সিদ্দিকী, আজমান আহমেদ জুনায়েত ইসলাম নিঝুম, হাবেল মৃধা ও হানিফ মিয়া প্রমুখ। তাদের এ দাবি দ্রুত সময়ের মধ্যে বাস্তবায়ন করা না হলে কঠোর কর্মসুচী দেওয়া হবে বলে ঘোষনা দেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে মির্জাপুর ট্রেন স্টেশনের স্টেশন মাস্টার মো. কামরুল হাসানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বিভিন্ন দাবি নিয়ে আন্দোলনকারীরা রেলপথ অবরোধ করেছিলেন। তাদের দাবিগুলো রেলওয়ের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। সন্ধ্যার পর থেকে এ রোডে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।