মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল:
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে ১০ বছরের শিশুকে ধর্ষনের ঘটনায় ধর্ষক ফিরোজ মিয়াসহ গ্রাম্য মাতাব্বরদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবিতে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের পাকুল্যাতে মানববন্ধন এবং প্রতিবাদ সামবেশ হয়েছে।
আজ রবিবার দুপুরে বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন ফাউন্ডেশন কেন্দ্রীয় কমিটি এ কর্মসুচী পালন করে।
কর্মসুচীতে ফাউন্ডেশনের সদস্য ছাড়াও এলাকার বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ ছাড়াও শিক্ষার্থীরা এ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সামবেশে অংশ নেয়।
মানববন্ধন শেষে প্রতিবাদ সমাবেশে বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন ফাউন্ডেশন কেন্দ্রীয় কমিটির সহ মহাসচিব ব্যারিষ্টার হাসনাত জামিল ও পর্যবেক্ষক সম্পাদক ব্যারিষ্টার আকিব আকবর চৌধুরী ধর্ষক ফিরোজ মিয়া ও গ্রাম্য মাতাব্বর বাবুল, মালেক, ফাজু, ইউনুছ, নুরইসলাম, আলম, খোরশেদ ও আলীমসহ ঘটার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতার এনে কঠোর শস্তির দাবী জানান।
সমাবেশ থেকে ধর্ষিতার শিকার শিশুর পরিবারকে সকল ধরনের আইনী সহায়তা দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়।
এ সময় ফাউন্ডেশনের সদস্য হিমেল, শাহীনুর, মমিনুল, সাব্বির, ইমরান, সম্্রাট ও অর্নব উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য যে, আজগানা ইউনিয়নের কুড়িপাড়া গ্রামের সৌদি প্রবাসির স্ত্রী দ্ধিতীয় শ্রেণী পড়–য়া শিশু কন্যাকে নিয়ে বাড়িতে থাকেন। সংসারের অভাব অনটনের মধ্যে শিশুর মা গামেন্টেসেও কাজ করেন। গত ১৭ ফেব্রুয়ারি মেয়েকে বাড়িতে রেখে তার মা কাজে যান। বাড়িতে অন্য কেউ না থাকায় কুড়িপাড়া গ্রামের নওসের আলীর ছেলে ফিরোজ মিয়া (৩২) শিশুকে কৌশলে ধর্ষন করে এবং তার মোবাইলে ভিডিও করে। ভিডিও করে তাকে হুমকি দেয় ঘটনা কাউকে বললে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া হবে। ধর্ষনের ঘটনার কয়েক দিন পর বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় উত্তেজনা দেখা দেয়। ঘটনা ধামাচাপা দিতে এলাকার মাতাব্বর বাবুল, মালেক, ফাজু, ইউনুছ, নুরইসলাম, আলম, খোরশেদ ও আলীমসহ ১৫-২০ জন মাতাব্বর গ্রাম্য শালিসে ধর্ষক ফিরোজকে দেড় লাখ টাকা জরিমানা এবং জুতাপেটা করা হয়। দেড় লাখ টাকার মধ্যে ৯২ হাজার পরিশোধ করা হলেও বাকী টাকা নিয়ে লাপাত্তা দিয়েছে মাতাব্বরগন। মাতাব্বরদের চাপে ঘটনা মিমাংসা করা হলেও শিশু কন্যাকে নিয়ে বিপাকে পরেন পরিবার। লোক লজ্জার ভয়ে মেয়ে নিয়ে বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নেন।
এ ব্যাপারে ধর্ষিতা শিশুর মাতা বলেন, ধর্ষক ফিরোজ ও তার পরিবার এবং মাতাব্বরদের চাপে শালিসে রাজি হয়েছিলাম।
লোকলজ্জার ভয়ে আমি প্রথমে মামলা করতে সাহস পাইন। উপজেলা প্রশাসন এবং পুলিশ আমার পাশে এসে দাড়িয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্ত মুলক মাস্তি চাই এবং এবং আমার শিশু কন্যাসহ আমার পরিবারের নিরাপত্তা চাই।

Discussion about this post