মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল:
শিক্ষক নের্তৃবৃন্দের কেন্দ্রীয় কর্মসুচীর নির্দেশে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসায় আজ সোমবার (১৩ অক্টোবর) থেকে একযোগে কর্মবিরতি শুরু হয়েছে।
অনিদিষ্ট কালের জন্য স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসায় একযোগে কর্মবিরতি শুরু হওয়ায় শ্রেণী কক্ষে পাঠদান করতে না পেরে বিপাকে পরেছে প্রায় অর্ধ লাখ শিক্ষার্থী।
অভিভাবকগন বলেছেন, কিছু দিন পরেই বার্ষিক পরীক্ষা। এই সময়ে নিয়মিত পাঠদান না হলে শিক্ষার্থীরা আরও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তারা শিক্ষকদের যৌক্তিক দাবি মেনে নেওয়ার জন্য সরকারের নিকট জোর দাবি জানান।
আজ সোমবার মির্জাপুর উপজেলার কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে দাবি আদায়ের লক্ষে অসহায় শিক্ষক-কর্মচারীগন কর্মবিরতি পালন করে যাচ্ছেন।
শিক্ষক-কর্মচারীগন অভিযোগ করেন, যুগযুগ ধরে তারা বেতন ভাতাসহ সরকারি বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত। এখন দেয়ালে তাদের পিঠ ঠেকে গেছে। ২০ ভাগ বাড়ি ভাড়া, ২০০০ হাজার টাকা চিকিৎসা ভাতা, শতভাগ বৈশাখি ও উৎসব ভাতা, স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা জাতীয় করন ও সকল শিক্ষক-কর্মচারীর বদলীসহ বিভিন্ন দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা কর্মবিরতিসহ আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।
উপজেলা মৈশামুড়া বসন্ত কুমারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মোস্তাফিজুর রহমান, বংশাই স্কুল এন্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আমজাদ হোসেন এবং উপজেলা মাদ্রাসা শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাওলানা ফজলুল করিম বলেন, গতকাল রবিার (১২ অক্টোবর) মির্জাপুর উপজেলা থেকে শিক্ষকগন ঢাকায় মহাসমাবেশে যোগদান করেছিলেন। অতি উৎসাহী কিছু পুলিশ সদস্য বিনাদোষে এই উপজেলার ৪ জন শিক্ষককে ধরে অন্যায় ভাবে মারপিট করেছে। এটা কখনো মেনে নেওয়া যায়না। দাবী পুরন না হওয়া পর্যন্ত সারা দেশে স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসাহ প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মবিরতিসহ আন্দোলন চলবে।
এ ব্যাপারে মির্জাপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও টাঙ্গাইল জেরা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আতিকুর রহমান আতিক এবং উপজেলা মাদ্রাসা শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলনা আব্দুল্লাহ তালুকদার বলেন, সারা দেশের প্রায় ৩০ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৫ লাখ শিক্ষক-কর্মচারী যুগযুগ ধরে বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছেন এবং বিভিন্ন সময়ের সরকার স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসার শিক্ষকদের যৌক্তিক দাবি নিয়ে প্রহসন করছেন। ২০ ভাগ বাড়ি ভাড়া, ২০০০ হাজার টাকা চিকিৎসা ভাতা, শতভাগ বৈশাবি ও উৎসব ভাতা, স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা জাতীয় করন ও সকল শিক্ষক-কর্মচারীর বদলীসহ বিভিন্ন দাবি পুরন করতে হবে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা কর্মবিরতিসহ আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।

Discussion about this post