গত ইউপি নির্বাচনে নির্বাচিত চেয়ারম্যান এবং পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থীর কর্মীদের মধ্যে পুর্ব শত্রুতার জের হিসেবে সুমন মোল্লা (৩৪) নামে স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতাকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে এবং ধরালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করেছেন বিএনপি নেতা কাশেম (৩০)। গুরুতর অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঘটনার পর দুই গ্রুপের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার ভাওড়া ইউনিয়নের কামারপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। গত দুই দিনেও ঘটনার সঙ্গে জড়িতরা গ্রেফতার হয়নি।
আজ শুক্রবার (২২ জুলাই) এলাকাবাসি জানায়, সুমন মোল্লা (৩৪) নামে স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা গত ইউপি নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী আমজাদ হোসেনের কর্মী ছিল। অপর দিকে আবুল কাশেম (৩০) বিএনপি সমর্থিত স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. মাসুদুর রহমান মাসুদ রানার কর্মী ছিল।
এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে ইতিমুর্বে মারামারির ঘটনা ঘটে। গত ১৫ জুন নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী মাসুদুর রহমান মসুদ রানা বিজয়ী হন। গতকাল বুধবার (২০ জুলাই) পুর্ব সত্রুতার জের ধরে বিএনপি নেতা আবুল কাশেম ও তার লোকজন কামারপাড়া এরাকায় স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা সুমন মোল্লাকে আটক করে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়েও ধারালো অস্্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করে।
তার মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন স্তানে আঘাতপ্রাপ্ত হওয়ায় অবস্থায় আশংকা জনক রয়েছে। আশপাশের লোকজন ঘটনা দেখে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। ঘটনার পর থেকেই কাশেম মোল্লা ও তার লোকজন পলাতক রয়েছে।
এ ব্যাপারে স্থানীয় চেয়ারম্যান মো. মাসুদুর রহমান মাসুদ বলেন, পুর্ব শত্রুতার জের ধরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে তিনি জানতে পেরেছেন। আহতকে হাসপাতালে ভর্তির পর চিকিৎসার খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে। থানায় অভিযোগ হয়েছে। ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ।
এ ব্যাপারে মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ আবু সালেহ মাসুদ করিম সাংবাদিকদের বলেন, অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্তের পর দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে।
এবি//দৈনিক দেশতথ্য// জুলাই ২২,২০২২//

Discussion about this post