আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৩৬, টাঙ্গাইল-৭ মির্জাপুর আসনে ট্রাক ও নৌকার মধ্যে হাড্ডা হাড্ডি লড়াই হচ্ছে। প্রবীণ-নবীণ দুই নেতাই আওয়ামীলীগের হেভিওয়েট প্রার্থী। ট্রাক প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনের মাঠে নেমেছেন প্রবীণ আওয়ামীলীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর এনায়েত হোসেন মন্টু।
আওয়ামীলীগের দলীয় প্রতীক নৌকা নিয়ে মাঠে নেমেছেন বর্তমান সংসদ সদস্য খান আহমেদ শুভ। দু,জনেই আওয়ামীলীগ পরিবারের একনিষ্ঠ ও নিবেদিত প্রাণ হলেও নির্বাচনের মাঠে দু,জনেই এখন বিপরীত মেরুতে অবস্থান করছেন।
আওয়ামীলীগ ও এর সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা পড়েছেন বিপাকে। তার পরও প্রচার-প্রচারনা ও গণসংযোগে জমজমাট এখন নির্বাচনী এলাকা। দিন রাত চষে বেড়াচ্ছেন ভোটারদের বাড়ি বাড়ি।
স্বতন্ত্র প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর এনায়েত হোসেন মন্টু ট্রাক প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন। তিনি পাঁচ বার ১০ নং গোড়াই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং তিন বার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। সম্প্রতি তিনি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন।
তিনি বাংলাদেশ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ছিলেন। তার ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে। তিনি ট্রাক প্রতীক পাওয়ায় উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মীর মরীফ মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক ব্যারিষ্টার তাহরীম হোসেন সীমান্ত, পৌরসভার মেয়র মেয়র ও নারী নেত্রী সালাম আক্তার শিমুল, বঙ্গবন্ধু সেনা পরিষদের কেনদ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ড, মেজর (অব.) খন্দকার এ হাফিজ, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি শিল্পপতি আবুল কালাম আজাদ লিটন, টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামীলীগের কার্যকরী সদস্য রাফিউর রহমান খান ইউসুফজাই সানি, সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক শামীম আল মামুন, যুগ্ম সম্পাদক আবু রায়হান সিদ্দিকী, উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ নেত্রী মীর্জা শামীমা আক্তার শিফা, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক আজাহারুল ইসলাম, বিআরডিবির চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম জহির, ভাইস চেয়ারম্যান আবিদ হোসেন শান্তসহ অধিকাংশ আওয়ামীলীগ ও এর সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মী তার পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।
ফলে নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর এনায়েত হোসেন মন্টু শক্ত অবস্থানে।
অপর দিকে নৌকার প্রার্থী খান আহমেদ শুভর অবস্থানও কম নয়। তিনি টাঙ্গাইল জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি একুশে পদকপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান খান ফারুকের পুত্র। উপনির্বাচনে তিনি এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর দেড় বছরের ব্যবধানে মির্জাপুর এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন।
দলের নেতাকর্মীরা তার বিপরীতে অবস্থান নেওয়ায় তিনি দলকে ঠিকমত গোছাতে পারেননি। দলের অধিকাংশ নেতাকর্মী তার জন্য কাজ করছেন না। এ নিয়ে তিনি একটু বেকায়দায় পড়েছেন।
সাবেক মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মোশারফ হোসেন মনি, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শহিদুর রহমান সহিদ, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান এএসএম মোজাহিদুল ইসলাম মনির, সাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুর রহমান আকন্দ, মো. মাজাহরুল ইসরাম শিপলু, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক লাবু, সাবেক ভিপি মাসুম মিয়া, ছাত্ররীগের সাবেক সভাপতি ও এমপির একান্ত ব্যক্তিগত সচিব মীর আসিফ অনিকসহ যুব ও তরুণ প্রজন্মের নেতাকর্মীরা খান আহমেদ শুভর পক্ষে দিন রাত কাজ করে যাচ্ছেন।
এ ব্যাপারে বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর এনায়েত হোসেন মন্টু বলেন, স্থানীয় আওয়ামীলীগ ও এলাকার জনগন আমাকে এমপি প্রার্থী করেছেন। উন্নয়নের ধারাহিকতার জন্য জনগন আমাকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে ট্রাক প্রতিকে এমপি নির্বাচিত করবেন এটা আমার বিশ্বাস। শুধু আওয়ামীলীগের নেতাকর্মী নয়, এলাকার সাধারণ ভোটার আমার কর্মী হয়ে দিন রাত মাঠে ময়দানে কাজ করছেন। সবার মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাকের গনজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে বলে তিনি দাবী করেন।
এ ব্যাপারে খান আহমেদ শুভ এমপি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ আমাকে নৌকা দিয়ে মির্জাপুরের উন্নয়নের জন্য পাঠিয়েছেন। গত দেড় বছরের মির্জাপুরে আমি ব্যাপক উন্নয়ন করেছি। উন্নয়নের ধারাহিকতায় এলাকার জনগন, আওয়ামীলীগ ও এর সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মী আমার পক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন। আামর বিশ্বাস বিপুল ভোটের ব্যবধানে আমি নৌকা প্রতিক নিয়ে নির্বাচিত হতে পারবো।
রুবেল//দৈনিক দেশতথ্য//ডিসেম্বর ২২,২০২৩//

Discussion about this post