টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে মেয়ের শ্বশুর বাড়িতে আবুল হাসেম ওরফে হাসু মিয়া হত্যার প্রধান আসামী সজলসহ পাঁচ আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। দ্রুত সময়ের মধ্যে পাঁচ আসামী গ্রেফতারে স্বস্তির কথা জানিয়েছেন বাদী পক্ষ। গ্রেফতারকৃত আসামীরা হচ্ছেন সজল, আমির হামজা, লাইলী, নিলুফা ও ঝুমা বেগম। মির্জাপুর থানার সেকেন্ড অফিসার (উপ পরিদর্শক) মো. মোশারফ হোসেন জানিয়েছেন, আসামীদের মধ্যে নিলুফা বেগম বাদে অপর চার আসামীকে দুই দিনের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। হত্যার রহস্য উৎঘাটন হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, গত (৩১ মার্চ) মির্জাপুর উপজেলার ভাওড়া ইউনিয়নের সরিষাদাইর গ্রামে মো. আবুর হাসেম হাসু মিয়াকে (৬০) পিটিয়ে হত্যা করা হয়। তার পিতার নাম মোকছেদ আলী বেপারি। গ্রামের বাড়ি মির্জাপুর পৌরসভার পুষ্টকামুরি মধ্যপাড়া গ্রামে। তার মেয়ে রুবিনা আক্তারের স্বামী জুয়েল মিয়া দীর্ঘ দিন ধরে প্রবাসে থাকেন। স্বামীর অনুপস্থিতিতে শ^শুর বাড়ির লোকজন নির্যাতন করে জমি দখলের চেষ্টা করলে রুবিনা তার পিতা হাসু মিয়াকে। গত ৩১ মার্চ শুক্রবার তিনি সরিষাদাইর গ্রামে গেলে মেয়ের শ^শুর বাড়ির লোকজন হাসু মিয়ার উপর হামলা চালালে তিনি নিহত হন। পরে ঘাতক সজল, আমির হামজা, লাইলী, নিলুফা ও ঝুমাকে আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়। মামলার পর আসামীরা আত্নগোপনে চলে যায়। তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে পাঁচ আসামীকে বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
এদিকে আসামীদের গ্রেফতারের পর রিমান্ডের আবেদন করে টাঙ্গাইল চিফজুডিয়াল ম্যাজিষ্ট্যেট আদালতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। পরে বিচারক আসামী সজল, আমির হামজা, লাইলী ও ঝুমাকে দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে নিহত আবুল হাসেম হাসু মিয়ার কন্যা রুবিনাসহ তার পরিবারের সদস্যগন বলেন, অল্প সময়ের মধ্যে আসামীদের গ্রেফতার করায় পুলিশের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। আসামীরা গ্রেফতার হওয়ায় তাদরে পরিবারের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে। মামলার আসামীরা যাতে কোন অবস্থায় পার পেয়ে না যায় জে জন্য তাদরে দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবী জানিয়েছে।
এ ব্যাপারে মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ আবু সালেহ মাসুদ করিম বলেন, মামলায় যাদের আসামী করা হয়েছে তাদের মধ্যে প্রধান আসামী সজল মিয়া, আমির হামজা, নিলুফা, ঝুমা এবং লাইলী বেগমকে গ্রেফতার করে ম্যাজিস্ট্রেট এর মাধ্যমে দুই দিনের রিমান্ডের আবেদন করে জিজ্ঞাসাবাদ করাহয়েছে। নিহত হাসু মিয়ার পরিবার যাতে ন্যায় বিচার পান সে জন্য পুলিশ ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে তার পরিবারকে সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হবে।
খালিদ সাইফুল, দৈনিক দেশতথ্য, ১৩ এপ্রিল ২০২৩

Discussion about this post