উদ্ধার হয়নি ট্যাংক লরি। চার সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন। লরি দিয়ে এখন পর্যন্ত পেট্রোল (তেল) পড়ছে। আশপাশে ছড়িয়ে পড়েছে দুর্গন্ধ।
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে দুর্ঘটনা কবলিত ট্রেনের ইঞ্জিনসহ লাইনচ্যুত তেলবাহী ট্যাংক লরি উল্টে খাদে পড়ে যাওয়ার ২৪ ঘন্টা পর ইঞ্জিন উদ্ধার হয়েছে। উদ্ধার হয়নি খাদে উল্টে পড়া তেলবাহী ট্যাংক লরি। লরি দিয়ে এখন পর্যন্ত পেট্রোল (তেল) পড়ছে। আশপাশে ছড়িয়ে পড়েছে দুর্গন্ধ।
উত্তর বঙ্গের সঙ্গে ট্রেন যোগাযোগ এক লাইন দিয়ে ট্রেন যোগাযোগ আংশিক চালু হয়েছে। তেলসহ ক্ষতির পরিমান প্রায় ৪০ লাখ টাকা বলে কর্মকর্তাগন জানিয়েছেন। ঘটনার তদন্তের জন্য রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ চার সদস্য বিশিষ্ট্য তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বলে আজ মঙ্গলবার (২১ জুন) মির্জাপুর ট্রেন স্টেশনের স্টেশন মাষ্টার জানিয়েছেন।
গত সোমবার (২১ জুন) বিকেল সারে পাঁচটার দিকে এ ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় ট্রেনের লোকো মাষ্টার ফিরোজ শাহ সুলতান (চালক) ও সহকারী চালক জিয়াউর রহমান আহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার (২১ জুন) বিকেলে মির্জাপুর ট্রেন স্টেশন দুর্ঘটনা কবলিত এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে রেলওয়ের উদ্ধারকারী একটি রিলিফ ট্রেন (ক্রেন) দুর্ঘটনা কবরিত ট্রেনের ইঞ্জিন উদ্ধার করেছেন। তবে তেলবাহী ট্যাংলড়ি কবে উদ্ধার হবে তা অনিশ্চিত হয়ে পরেছে।
মির্জাপুর ট্রেন স্টেশনের লাইন ম্যান ও রেলওয়ে পুলিশ সুত্র জানায়, গতকাল সোমবার ২৪ টা তেলবাহী ট্যাংলড়ি ওয়াগন নিয়ে চট্রগ্রাম তেল নিয়ে রংপুর যাচ্ছিল। লড়িতে প্রায় ৪০ হাজার লিটার তেল পেট্রোল ছিল। ট্যাংলড়িটি মির্জাপুর স্টেশনের কাছাকাছি এলে লোকো মাষ্টার সিগন্যাল অমান্য করে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় ট্যাংলড়িটি লাইনচ্যুত হয়ে সামনের ইঞ্জিনসহ তেলসহ দুটি বগি ওয়াগন উল্টে খাদে পরে যায়। আহত হয় ট্রেনের লোকো মাষ্টার ও সহকারী মাষ্টার আহত হন। ফলে উত্তর বঙ্গের সঙ্গে ট্রেন যোগাযোগ সাময়িক বিচ্ছিন্ন হয়ে পরে।

এদিকে দুর্ঘটনার খবর পেয়ে মির্জাপুর ফায়ার সার্ভিস, মির্জাপুর থানা পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ, রেলওয়ে পুলিশ ও ট্রাফিক পুলিশসহ আশপাশের লোকজন উদ্ধার কাজ শুরু করে। রেলওয়ে বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রিয়াদ আসাদ, ইডব্লিউই নুরুজ্জামানসহ কর্মকর্তাগন ঘটনাস্থল পরিদশর্নে করেছেন। তাদের নির্দেশে গতকাল সোমবার রাতে ঢাকা ও আখাউড়া থেকে রিলিফ ট্রেন এসে উদ্ধার কাজ শুরু করে। দীর্ঘ ২৪ ঘন্টা চেষ্টার পর আজ মঙ্গলবার বিকেল পাঁচটার দিকে দুর্ঘটনা কবরিত ইঞ্জিন উদ্ধার করেছেন। তবে তেলবাহী ট্রেনের বগি ওয়াগন উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। কবে নাগাদ ওয়াগনটি উদ্ধার হবে তা অনিশ্চিত। ওয়াগন দিয়ে এখন পর্যন্ত পেট্রোল বের হচ্ছে। আশপাশের লোকজন ড্রামও বালতি নিয়ে তেল নিয়ে যাচ্ছে।
এ ব্যাপারে মির্জাপুর ট্রেন স্টেশনের স্টেশন মাষ্টার মো. কামরুল হাসান বলেন, ট্রেন দুর্ঘটনার পর রেলওয়ে বিভাগের জিএম অসিম কুমার তালুকদার, রেলওয়ে বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রিয়াদ আসাদ এবং ইডব্লিউই নুরুজ্জামানসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগন ঘটনাস্থলে রয়েছেন। দুর্ঘটনা কবলিত ট্যাংলড়িটি উদ্ধারে কাজ চলছে। এঘটনার তদন্তে চার সদস্য বিশিষ্ট্য কমিটি গঠন হয়েছে। ট্যাংলড়ির লোকো মাষ্টার ও সহকারী লোকো মাষ্টার আহত হয়েছেন। তারা চিকিৎসা নিচ্ছেন। উত্তর বঙ্গের সঙ্গে ট্রেন চলাচল এক লাইন দিয়ে চলাচল করছে। পুরো লাইন চালু হতে সময় লাগবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এবি//দৈনিক দেশতথ্য//জুন ২২,২০২২//

Discussion about this post