বাংলাদেশ-ভারত সম্প্রীতি পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ড. এএফএম আমিনুল হক রতন বলেছেন, দেশ স্বাধীনের সময় প্রকৃত বন্ধু রাষ্ট্র হিসেবে হাত বাড়িয়েছিল ভারত। তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের নয় মাসের মুক্তিযুদ্ধের ফলাফল স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। মুক্তিযুদ্ধের প্রাণ পুরুষ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, যুদ্ধকালীন সরকারের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তাজউদ্দিন আহমেদ, প্রকৃত বন্ধু রাষ্ট্র হিসেবে হাত বাড়িয়েছিল ভারত।
সম্প্রতি রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ-ভারত সম্প্রীতি পরিষদের আয়োজনে বঙ্গবন্ধুর আহবানে মহান মুক্তিযুদ্ধ ও ভারতের অবদান শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বর নির্যাতনের শিকার হয়ে বাংলাদেশ থেকে প্রায় এক কোটি শরণার্থীকে ভারতের জনগণ ও সরকার হাসিমুখে আশ্রয় ও খাদ্য সহায়তা প্রদান করে। শুধু তাই নয়-মুক্তিযোদ্ধাদের ট্রেনিং, অস্ত্র ও গোলাবারুদ সরবরাহ করে। এসব কাজে তখন ভারতকে খরচ করতে হয়েছিল সাত হাজার কোটি টাকা।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে মিত্র বাহিনীর ভূমিকা রাখতে ভারতকে হারাতে হয়েছিল বহু অফিসার ও সৈনিককে। ১৯৭১ সালে পূর্ব ও পশ্চিম রণাঙ্গন মিলে শহীদ ভারতীয় সৈন্যের সংখ্যা ৩৬৩০ জন, নিখোঁজ ২১৩ জন এবং আহত ৯৮৫৬ জন। যাঁদের রক্ত এই স্বাধীন বাংলাদেশের মাটিতে মিশে রয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ-ভারত সম্প্রীতি পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মালেক মিয়া।
আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ-ভারত সম্প্রীতি পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির প্রধান উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট এম এ বারী, নির্বাহী সভাপতি অধ্যাপক ডঃ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ শিকদার, কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খোকন সাহাসহ সংশ্লিষ্টরা।