Print Date & Time : 7 July 2025 Monday 1:32 am

মুক্তিযোদ্ধার সন্তানকে গলা কেটে হত্যার চেষ্টা

(প্রভাবশালীদের চাপে থানা মামলা না নেওয়ায় মানববন্ধন)

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে এক মুক্তিযোদ্ধার সন্তানকে গলাকেটে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। তার নাম রওশন আলী (৪৫)। প্রভাবশালীদের চাপের মুখে ভুক্তভোগীর মামলা না নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। এঘটনায় বিচার না পেয়ে মুক্তিযোদ্ধা ও এলাকাবাসী মানববন্ধন করেছে।

বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় কুষ্টিয়ার জেলা  প্রশাসকের কার্যালয় চত্ত্বরে এ মানববন্ধনে দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে বিচার দাবি করেন মুক্তিযোদ্ধা ও এলাকাবাসী।

তবে এসময় মানববন্ধনে ওই মুক্তিযোদ্ধা ছাড়া তাদের পাশে কুমারখালী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নেতৃবৃন্দ ও তাদের সংগঠনের কেউই ছিলেন না।

মানববন্ধনে মুক্তিযোদ্ধা আজমত আলী বলেন, গত সোমবার (৩ জুলাই) সকাল ৯টার দিকে তার ছেলে রওশন আলী সাওতা গ্রামে মাঠ থেকে নিজ বাড়িতে ফিরছিলো। এসময় জমি নিয়ে পূর্ব বিরোধে প্রতিবেশী সাবদুল ও তার লোকজন এসে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে রওশনকে আহত করে ফেলে যায়।

পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। এঘটনার তিন দিন পেরিয়ে গেলেও মামলা গ্রহণ করেননি কুমারখালী থানা পুলিশ। পুলিশ তাদেরকে জানিয়েছে সাবদুলের নাম বাদ দিলে মামলা নেওয়া হবে।

মুক্তিযোদ্ধা আজমত আলী আরও বলেন,সঠিক বিচার পাওয়ার জন্য এ ব্যাপারে আমি অনেকের কাছে গিয়েছি। আমি গরীব মুক্তিযোদ্ধা হওয়ায় আমার পাশে কেউই দাঁড়াননি। কোনো উপায় না পেয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সামনে মানববন্ধন করছি। মানববন্ধনে রওশনের স্বজন ও এলাকার নারী পুরুষ অংশ নেন।

হামলার শিকার রওশনের স্ত্রী ফেরদৌসী খাতুন বলেন,স্বামীকে নিয়ে কুষ্টিয়া জেনারেল  হাসপাতালে রয়েছি। মামলা নিয়ে নাটক করছে পুলিশ। অভিযোগ দেয়ার তিনদিন অতিবাহিত হলেও মামলা হিসেবে রেকর্ড করেনি পুলিশ। প্রতিদিনই আমরা হয়রানির শিকার হচ্ছি থানায় গিয়ে। পুলিশ আসামিদের কাছে টাকা খেয়ে আমাদের সাথে অবিচার করছে। তাছাড়া আসামিরা প্রতিনিয়ত হত্যার হুমকি দিচ্ছে, দেখে নেয়ার হুমকি দিচ্ছে। আমরা জান-মাল নিয়ে ভয়ে আছি। আমরা আসামিদের বিচার চাই।

এ ব্যাপারে কুমারখালী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মুকাদ্দেস হোসেন বলেন,বিষয়টি আমি শুনেছি। পুলিশ কেনো মামলা নিল না অবশ্যই জবাব চাইবো। আমরা মুক্তিযোদ্ধা আজমত আলীর পাশে আছি। 

এ বিষয়ে কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা

(ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। ওই ঘটনায় ভুল বা মিথ্যা অভিযোগে কেউ হয়রানি হোক তা আমি চাই না। তাই অভিযোগটি তদন্ত করা হচ্ছে। মামলাও হবে।

এবি//দৈনিক দেশতথ্য//জুলাই ০৬,২০২২//