কুষ্টিয়া প্রতিনিধি:
কুষ্টিয়ায় শিক্ষার্থীদের মানোন্নয়নে গড়ে উঠা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন মেধা’র উদ্যোগ ও ব্যবস্থাপনায় জেলার বিভিন্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে আগত নবম-দশম শ্রেনীর শতাধিক শিক্ষার্থীদের অংশ গ্রহণে ‘গণিত প্রতিযোগিতা-২০২৫’ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহষ্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমীর ৪র্থ তলাস্থ হলরুমে উক্ত প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
সংগঠনের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার সালাহউদ্দিন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আয়োজনে প্রধান অতিথি ছিলেন, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মুকুল কুমার মৈত্র।
শেষে বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মধ্যে পুরষ্কার ও সনদ বিতরণ করা হয়।
এসময় প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে পাঠ বিমুখ শিক্ষার্থীদের মধ্যে পাঠ্যাভ্যাস গড়ে তুলতে এজাতীয় উৎসাহ ব্যঞ্জক আয়োজন খুব বেশি হওয়া দরকার। এক্ষেত্রে শিক্ষা বিভাগের দায়িত্বে যারা আছেন তারা শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রতিষ্ঠান ভিত্তিক এই সহপাঠক্রমিক আয়োজনকে উৎসাহিত করতে পারেন।
এই গনিত প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়া নবম শ্রেনীর শিক্ষার্থী তানজিনা খাতুন বলেন, ‘আমার মতো সকল স্কুল শিক্ষার্থীরা এমন প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়ার মধ্যদিয়ে নিজের উপর কনফিডেন্ট তৈরি হবে’।
কুষ্টিয়া জেলা স্কুলের দশম শ্রেনীর শিক্ষার্থী আহসানুল আমীন জানায়, ‘এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিলে শিক্ষার্থীরা নির্ধারিত সিলেবাস বা সাজেশন গাইডের গন্ডি পেরিয়ে যে কোন বিষয়ের গভীর থেকে জানার আগ্রহ সৃষ্টি হবে’।
কুষ্টিয়া সরকারী কলেজের সহকারী অধ্যাপক অজয় মৈত্র জানান,‘শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রকৃত অর্থে বিজ্ঞান শিক্ষার ভীতি দৈন্যতা চলছে সেখান থেকে উত্তোরনে এভাবে গণিত বিদ্যা, পদার্থবিদ্যা, রসায়ন বা ইংরেজীসহ যে সকল বিষয় ভিত্তিক দুর্বলতা রয়েছে সেই সকল বিষয়গুলি শিক্ষার্থীদের মাঝে সহজতর উপস্থাপনের একটি কার্যকরী উদ্যোগ হতে পারে এই ধরণের আয়োজন’। মেধা’র মতো আরও যেসব স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আছে তারাও এগিয়ে আসতে পারেন শিক্ষার মান উন্নয়নে এবং শিক্ষার্থীদের মনস্তাস্তিক স্থুলতা কাটিয়ে বিকশিত হওয়ার পথ তৈরিতে।
এই আয়োজন এবং সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার সালাহ উদ্দিন বলেন, ‘কুষ্টিয়ার সন্তান হিসেবে আমি মনে করি এই জেলার বিজ্ঞান শিক্ষার্থীদের দৈন্যতা কাটিয়ে তাদের লেখাপড়ার উন্নতি হোক। এই আয়োজনে আমারদের তাগিদ হলো- আজ-কাল ছাত্র ছাত্রীরা যেভাবে লেখাপড়া বিমুখ হয়ে যাচ্ছে, তারা মোবাইল ফেনে বা অন্যান্য অবক্ষয়ের প্রতি আসক্ত হয়ে যাচ্ছে সেখান থেকে তাদের ফেরাতে হবে, এই দায় আমরা এড়াতে পারি না।