ধানের ছত্রাকজনিত রোগ ব্লাস্টের সংক্রমণ দেখা দিয়েছে জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলায়। দূর থেকে ক্ষেতের দিকে তাকালেই মনে হয় ধান পেকে কাটার সময় হয়ে গেছে।
ধান পাকার আগেই সেখানের ফসলি জমিতে ব্লাস্ট সংক্রমণে সাদা হয়ে চিটা হয়ে যাচ্ছে ধান। রোগের আক্রমনে নষ্ট হয়ে যাওয়ায় ধান কেটে ফেলছেন কৃষকরা।
স্থানীয় বাজার থেকে বিভিন্ন কোম্পানির কীটনাশক কিনে তিন-চার বার খেতে ব্যবহার করলেও তা কোনো উপকারে আসেনি বলে অভিযোগও করেন কৃষকরা।
কৃষকদের আগে থেকেই কীটনাশক প্রয়োগ করতে পরামর্শ দিয়েছিলেন সংশ্লিষ্টরা । সেই সাথে বোরো মৌসুমে ধানের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ব্যাপকভাবে হ্রাস পাওয়ার আশংকা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
স্থানীয় কৃষকেরা বলেছেন, ধান গাছের শিষ বের হওয়ার কিছুদিন পর থেকেই শিষের গোড়ায় কালো হয়ে যায়। তারপর থেকেই আস্তে আস্তে সম্পূর্ণ শিষ সাদা হয়ে যাচ্ছে। ধানগাছ ভালো থাকলেও শিষ মরে যাচ্ছে। আদ্রা ও নাংলা ইউনিয়নেই প্রায় ৩০০ একর জমিতে এমন রোগ দেখা দিয়েছে।
আদ্রা ইউনিয়নের কৃষক আব্বাস মিয়া বলেন, ‘দুই বিঘা জমিতে ভালো ফলনের আশায় ব্রি ২৮ জাতের ধান লাগিয়েছি। গত কয়েক দিন শিষ বের হওয়া শুরু হয়েছে। তাঁর দুই-এক দিন পর থেকেই ধানের শিষ সাদা রঙের হয়ে যাচ্ছে। দূর থেকে দেখে মনে হয় ধান পেকে গেছে। কিন্তু কাছে গিয়ে দেখি শিষ সাদা হয়ে মরে গেছে।’
বাসুদেবপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল হালিম বলেন, ‘তিন বিঘা জমি বর্গা নিয়ে আমি বোরো ধান চাষ করেছি। এ জমিতে ধান চাষ করতে গিয়ে অন্তত ২০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। দুই বিঘা জমিতে এবারে ৬ হাজার টাকারও বেশি কীটনাশক প্রয়োগ করেছি। তারপরও ধান ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত।’
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল ফয়সাল বলেন, ‘আমরা কৃষকদের আগে থেকেই বলেছি কীটনাশক প্রয়োগ করতে। যারা কীটনাশক প্রয়োগ করেনি, তাদের জমিতে এ ধরনের রোগ দেখা দিয়েছে। এ ছাড়া ধানের পোকা দমনে কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে সব সময় পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।’
এবি//দৈনিক দেশতথ্য//১৩ এপ্রিল,২০২২//

Discussion about this post