Print Date & Time : 10 May 2025 Saturday 11:42 pm

মেহেরপুরের গ্রামগুলোতে অসহনীয় লোডশেডিং

আব্দুল আলিম, মেহেরপুর (কুষ্টিয়া) : মেহেরপুরের বিভিন্ন গ্রামে অসহনীয় লোডশেডিং চলছ। বিদ্যুৎ তিন ঘন্টা পর ১৫ থেকে ২০ মিনিট থেকে আবারও অনির্ধারিত সময়ের জন্য হারিয়ে যায়। দিন দিন বেড়েই চলেছে তাপদাহ সেই সাথে নতুন যুক্ত হয়েছে এই অসহনীয় লোডশেডিং। পৌর শহরে বিদ্যুৎ থাকলেও কোন গ্রামেই ২৪ ঘন্টায় গড়ে ৩ ঘন্টাও দেখা মিলছে না বিদ্যুতের। বিদ্যুৎ বিভাগ বলছে, গ্যাস স্বল্পতার কারনেই শিডিউল করে লোডশেডিং দিতে হচ্ছে।
বিভিন্ন গ্রামে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্ষাকাল হলেও অনাবৃষ্টি ও তীব্র তাপদাহে জনজীবন অতিষ্ঠ। তার উপরে বিদ্যুতের মাত্রারিক্ত লোডশেডিং। মেহেরপুর ও গাংনী পৌরসভা এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহে কোন সমস্যা নেই। কিন্তু গ্রামাঞ্চলের লোকজন বিদ্যুৎ বিভাগের উপরে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।মুজিবনগর উপজেলার সাকিল আহাম্মেদ বলেন, সারাদিনেই কিছু সময় পর পর বিদ্যুৎ আসলেও রাতে বিদ্যুৎ গেলে দু’ চার ঘন্টায় আর দেখা মেলে না। একই অভিযোগ করলেন আব্দুর রাজ্জাক, সোহান আহম্মেদসহ অনেকেই।
সদর উপজেলার বারাদি এলাকার রুহুল আমিন বলেন, আজ বেশ কয়েক দিন বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে গেছি। সারা রাতে এক থেকে দেড় ঘন্টা বিদ্যুৎ পাওয়া যায়।
হাড়াভাঙ্গা তোফাজ্জেল রাইস মিল মালিক জানান, বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের কারণে ধান ভাঙ্গানো ছাড়াও মসলাপাতি গুড়া করা সম্ভব হচ্ছে না। কোরবানীর ঈদ দুয়ারে কড়া নাড়ছে। এখন কাজের চাপ। অথচ এই লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ মানুষ। অনেকেই সারাদিন ব্যয় করেন ধান ও মসলা ভাঙ্গাতে এসে।
মসলা ব্যবসায়ি ছাতিয়ানের কোরবান আলী জানান, তিনি নিজে মরিচ হলুদসহ নানা জাতের মসলা কিনে মিলে ভাঙ্গিয়ে বিক্রি করেন। বিদ্যুত না থাকায় সেটি সম্ভব হচ্ছে না।
সবজি চাষিরা অভিযোগ করে বলেছেন, তারা ফসলে সেচ দিতে না পারায় ফসল নিয়ে তারা চিন্তিত।
গাংনী উপজেলার কুঞ্জনগর গ্রামের মজনুর রহমান জানান, লোডশেডিংয়ের ফলে আমার গ্রামে ও আশপাশের কয়েকটি গ্রামের বেশকিছু মুরগীর খামারের মুরগী মরে গেছে। পথে বসেছেন সে সকল খামারীরা। গরু খামারীরা চার্জার ফ্যান দিয়ে কোন রকমে বাতাসের ব্যবস্থা করছেন কেউ কেউ ব্যাটারী কিনে চালাচ্ছেন।

মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির গাংনী জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) আবুল কাশেম জানান, গড়ে সারাদিনই লোডশেডিং চলছে। আমরা নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে চাই। কিন্তু আমার এলাকায় ১১ মেগাওয়াট চাহিদা থাকলেও সরবরাহ পাচ্ছি সাড়ে ৪ মেগাওয়াট। আমাদের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন গ্যাস স্বল্পতার কারনেই এরকম লোডশেডিং হচ্ছে। আরও কিছুদিন এরকম সমস্যা হতে পারে।