মেহেরপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধিঃ মেহেরপুরে সরকারি আইনকে বৃদ্ধাঙ্গল দেখিয়ে ইট ভাটায় প্রকাশ্যে চলছে কাঠ পুড়ানোর মহা-উৎসব। সেই সাথে চলছে অবৈধ ভাবে ইট ভাটার ব্যবসা। হুমকিতে লোকালয় ও কৃষিজমি। মেহেরপুরের ৩টি উপজেলার একটি ভাটাতেও এখনো পর্যন্ত কোন প্রকার অভিযান পরিচালিত হয়নি। নামমাত্র কয়লা দিয়ে ইট পুড়ানোর আইন থাকলেও প্রকাশ্যে ইটভাটা গুলোতে চলছে কাঠ পুড়িয়ে ইট তৈরির কাজ। কাটা হচ্ছে ফসলী মাটি। লাগামহীন ভাবে চলছে গাছ পুড়ানোর মহা-উৎসব। কিছু জায়গায় আবার ইটের ভাটাতেই বসানো হয়েছে কাঠ কাটা কল। অবৈধভাবে আবাদি জমির পাশেই ভাটা তৈরী হওয়ায় ফসলের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। ভাটার কালো ধূয়ায় পরিবেশের ক্ষতির পাশাপাশি নানা ধরনের রোগ বালাই বৃদ্ধি পাচ্ছে।
অবৈধ এসব ভাটা গুলো পরিবেশের ভারসাম্যে বিরুপ প্রভাব এনে নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে দেদারসে চালাচ্ছে ইটের ভাটা, যেখানে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছে শিশুসহ হাজার হাজার মানুষ। মেহেরপুর সদর, মুজিবনগর ও গাংনী-সহ জেলার ৩টি উপজেলায় সরেজমিনে গিয়ে কাঠ পুড়তে দেখা গেছে। মজুদ করা হয়েছে বিপুল পরিমাণ কাটা গাছ। এসব ইটভাটা গড়ে তোলা হয়েছে ফসলের ক্ষেতেই, আবার দেখা গেছে গাংনী উপজেলার বাহাগুন্দা গ্রামে সরকারি স্কুলের পাশেই গড়ে উঠেছে নুর ইসলাম ব্রিকস। ভাটা জ্বালানোর কিছুদিন আগে গাংনী উপজেলার পোড়াপাড়া নামক স্থানে অবস্থিত একটি ভাটায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ইটভাটায় জ্বালানির জন্য প্রায় ৩০ হাজার মন বিভিন্ন প্রজাতির কাঠ মজুদ করে রাখা।
ইটভাটায় কাঠ জ্বালানোর বিষয়ে গাংনী উপজেলার ইটভাটা সমিতির সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক সাংবাদিকদের বলেন, আমরা ৪০-জন ভাটা মালিক জোড়া-তালি দিয়ে কোন রকমে ইটভাটা চালাচ্ছি। কয়লার দাম বেশি হওয়ায়, কয়লা দিয়ে আমরা ইট পুড়াতে পারছিনা। উপায় না পেয়ে কাঠ দিয়েই ইট পুড়াতে হচ্ছে।
দৈনিক দেশতথ্য/এসএইচ//

Discussion about this post