মেহেরপুরের আম না হলে যেন মধু মাস মানায়-ই না। আমের জন্য রাজশাহী বিখ্যাত হলেও বিগত বছরগুলোতে মেহেরপুরের আমের চাহিদা ও খ্যাতি সারাদেশব্যাপী লক্ষ্য করা গেছে। তাই ভোক্তাদের কেমিক্যাল মুক্ত আমের নিশ্চয়তা ও মেহেরপুরের আমের খ্যাতি ধরে রাখতে জেলায় আম নামানোর সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে জেলা প্রশাসন থেকে।
সোমবার (৮ মে), সকালের দিকে মেহেরপুর জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে মেহেরপুর জেলার চলতি মৌসুমে আম সংগ্রহ, পরিবহন, বিপণন ও বাজারজাত মনিটরিং সংক্রান্ত সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
মেহেরপুর জেলা প্রশাসন আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মৃধা মোহাম্মদ মোজাহিদুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক লিংকন বিশ্বাস, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও গাংনী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ খালেক, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শংকর কুমার মজুমদার, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট আব্দুস সালাম, গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাজিয়া সিদ্দিকা সেতু, মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রণী খাতুনসহ জেলার বিভিন্ন এলাকার আম ব্যবসায়ী, আমচাষী ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন।
সভায় নিরাপদ, বিষ মুক্ত ও পরিপক্ব আম বাজারজাত নিশ্চিত করতে স্থানীয় আম ব্যবসায়ী ও আম চাষীদের সাথে আলোচনা শেষে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ১৫ মে বুম্বাই, ১৮ মে গোপালভোগ, ২৫ মে হিমসাগর, ২৮ মে ল্যাংড়া, ৫ জুন আম্রুপালী, ২০ জুন ফজলি এবং ১৫ জুলাই থেকে বিশ্বনাথ, বারী-৪ ও আশ্বিনা জাতের আম নামানো যাবে।
অসময়ে আম নামানো বন্ধে এবং ক্যালসিয়াম, কার্বাইড, পিপিআর, ফরমালিন ও ইথিফনের মতো কেমিক্যাল ব্যবহারের মাধ্যমে যাতে আম পাকিয়ে মেহেরপুরের আমের খ্যাতি নষ্ট না করা হয় এজন্যই আম নামানোর সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে।
বিষয়টি ভ্রাম্যমাণ আদালত ও পুলিশ প্রশাসন কঠোর ভাবে মনিটরিং করবে বলে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম জানিয়েছেন।
জেলার মেহেরপুর সদর, গাংনী ও মুজিবনগর উপজেলায় ২৩ হাজার হেক্টর জমিতে আমের বাগান রয়েছে। যেখান থেকে আম উৎপাদনের সম্ভাব্য লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে প্রায় ৪০ লক্ষ মেট্রিকটন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চাষীরা তাদের কাঙ্ক্ষিত লাভের মুখ দেখবেন বলে মেহেরপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর আশা করছেন।
এবি//দৈনিক দেশতথ্য//মে ০৮,২০২৩//