মেহেরপুর প্রতিনিধি: মেহেরপুরের গাংনীতে গুলি ও বিপুল পরিমান দেশীয় অস্ত্রসহ আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের দুই নেতাকে আটক করেছে ছাত্র জনতা।
পরে তাদের দেওয়া স্বীকারোক্তি মূলকের জবানবন্দি ভিত্তিতে শনিবার মধ্যগত রাত থেকে অভিযান চালায় যৌথ বাহিনীর একটি দিন যৌথ বাহিনির একটি টিম গাংনী উপজেলার চরগোয়াল গ্রামে এ অভিযান পরিচালনা করেন।
আটকরা হলেন, গাংনী উপজেলার চরগোয়াল গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে ইউনিয়ন যুবলীগের নেতা রাজন আলী (২৯) ও একই গ্রামের মৃত হায়দার আলীর ছেলে আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা রাকিবুল ইসলাম (৩৫)। এদের কাছ থেকে ৮ রাউন্ড গুলি, দেশীয় ২৭টি অস্ত্রর মধ্যে ১৬টি ছোট বড় হাসুয়া, একটি কুড়াল, ১টি চাপাতি, ১টি দা, ছুরি ৩ টি, রড ৪ টি ও আঁকড়া ১ টি।
মেহেরপুর সেনা ক্যাম্পের অধিনায়ক লে: কর্ণেল নাবিল আহমেদের, অস্ত্র ও গুলি অবস্থান করছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে ছাত্র জনতা রাজন ও রকিবুলকে আটক করে। আটকের একপর্যায়ে তারা সকল বিষয় স্বীকার করলে ছাত্র-জনতা সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দেয়।। পরে তাদের সেনাবাহিনী জিজ্ঞাসাবাদ করলে স্বীকারোক্তিতে একই গ্রামের সবকুল আলীর জামাইয়ের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ৮ রাউন্ড গুলি ও ২৭ টি দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। যৌথবাহিনির অভিযান টের পেয়ে বাড়ির মালিক লাবলু পালিয়ে যায়।
গাংনী থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, যুবলীগ নেতা রাজন ও রাকিবুল ইসলামের বিরুদ্ধে এলাকায় চুরি ডাকাতিসহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের অভিযোগ রয়েছে। তারা একাধিকবার পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন। দুজনেই একাধিকবার জেল খেটেছে।মেহেরপুর সেনা ক্যাম্পের অধিনায়ক লে: কর্ণেল নাবিল আহমেদ এই তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, আটকদের বিরুদ্ধে গাংনী থানায় মামলা দিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
গাংনী থানার তদন্ত অফিসার মনোজ কুমার নন্দী জানান, এই ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। দুপুরে আসামিদের আদালতে পাঠানো হবে।
খালিদ সাইফুল, দৈনিক দেশতথ্য, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

Discussion about this post