মেহেরপুর প্রতিনিধি: মেহেরপুর সদর উপজেলার কালীগাংনী গ্রামে সংঘর্ষে নিহত মফেজ আলীর হত্যার সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে তার পরিবার।
গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নিহতের নিজ বাড়িতে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে নিহতের স্ত্রী, মেয়ে, বাবা, বড় ভাই, জামাতা, গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তি এবং জেলার গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে নিহতের স্ত্রী আরজিয়া খাতুন তার বক্তব্যে বলেন, গত ২ সেপ্টেম্বর রাত ৯টার দিকে গ্রামের ঘুনার মোড়ে আসামিদের চাচাতো ভাই জিন্নাতের মুদি দোকানে তার মামা-শ্বশুর আবুল কাশেম মেম্বারের সাথে রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। এ সময় আবুল কাশেমকে চড়-থাপ্পড় মারা হয়। একই সময়ে তার স্বামী মফেজ আলী কেনাকাটার জন্য দোকানে গেলে গণ্ডগোল থামানোর চেষ্টা করেন। তখন পূর্বপরিকল্পিতভাবে সাবদার আলী তার স্বামীর বুক ও অণ্ডকোষে লাথি মারে এবং হাসানুজ্জামান পিছন থেকে ঘাড়ে আঘাত করে। এতে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় মফেজ আলীকে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে নিহতের বাবা জানান, ঘটনার পর আসামিরা তাকে হত্যার হুমকি দেয়ায় তিনি মুখ খুলতে পারেননি। তাকে বলা হয়েছিল, যদি তিনি পুলিশের কাছে সত্য বলেন তবে ময়নাতদন্তে তার ছেলেকে অমানবিকভাবে কাটাকুটি করা হবে এবং সে আখিরাত পাবে না এমন ভয় দেখানো হয়েছিল।
এ সময় নিহতের জামাতা অভিযোগ করেন, হত্যার ঘটনায় থানায় মামলা করতে গেলে মেহেরপুর সদর থানা পুলিশ তাদের দুই ঘণ্টা বসিয়ে রাখে এবং পরে জানায়, ময়নাতদন্তের রিপোর্টের পর মামলা নেওয়া হবে। এমনকি পুলিশ মোবাইলে ডেকে নেবে বলে প্রতিশ্রুতি দিলেও চারদিন অতিবাহিত হওয়ার পরও আসামিদের বিরুদ্ধে কোনো আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
এ বিষয়ে মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মেজবাহ উদ্দিন জানান, “আমরা মামলা নিচ্ছি না, এমন অভিযোগ সঠিক নয়। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Discussion about this post