মেহেরপুর প্রতিনিধি: মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার চিৎলা পাটবীজ খামারের যুগ্ম পরিচালক (জেডি) মোর্শেদুল ইসলামের বিরুদ্ধে তথ্য অধিকার আইনে তথ্য চাওয়ায় সাংবাদিক ফয়েজের ওপর হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।
সাংবাদিক ফয়েজের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে খামারের শ্রমিকদের দিয়ে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা, হামলা, মানববন্ধন, স্মারকলিপি প্রধানসহ জীবননাশের হুমকি দিয়ে আসছে জেডি মোর্শেদুল ইসলাম।
সম্প্রতি “শ্রমিক নীতিমাল আইন ২০২৫” মেনে চিৎলা পাটবীজ খামারের জেডি কাজ না করার অভিযোগে তিনি ৫ জুলাই ২০২৫ তারিখে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন।
অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বিএডিসির পাটবীজ বিভাগের ব্যবস্থাপক মিজানুর রহমান আজ সকালে মেহেরপুর এসপি অফিসের পশ্চিমে অবস্থিত বিএডিসির বীজ ক্রয় কেন্দ্র (কন্ট্রাক্ট গ্রুপ অফিসে) তদন্তের জন্য ফয়েজকে মৌখিক ও লিখিতভাবে ডাকেন।
তদন্ত চলাকালে চিৎলা পাটবীজ খামারের জেডির ঘনিষ্ঠ বেশ কয়েকজন শ্রমিক পরিকল্পিতভাবে সেখানে গিয়ে ফয়েজকে হত্যার চেষ্টা চালায়। ফয়েজ বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে মেহেরপুর পুলিশ সুপারকে জানালে, পুলিশ সুপার সদর থানা পুলিশকে ঘটনাস্থলে পাঠান।
মেহেরপুর সদর থানার ওসি মেজবাহ উদ্দিন দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে ফয়েজকে নিরাপদে উদ্ধার করেন।
ওসি বলেন, “ফয়েজের কোনো দোষ পাওয়া যায়নি। পরিকল্পিতভাবে মব জাস্টিসের মাধ্যমে তাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল। পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে আমরা তাকে রক্ষা করতে পেরেছি।”
বিএডিসির মেহেরপুর বীজ ক্রয় কেন্দ্রের ডিডি এনামুল হক বলেন, “আমার অফিসে বসে তদন্ত হবে—এ ব্যাপারে আমি জানতাম না। তদন্ত কর্মকর্তা ও চিৎলা পাটবীজ খামারের জেডির কারণে যদি ফয়েজকে আজ হত্যা করা হতো, তবে আমিও মামলায় জড়িয়ে যেতাম। মহান আল্লাহ আমাকে রক্ষা করেছেন।”
তদন্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, “আজকে যে ফয়েজের ওপর মব জাস্টিস হতে যাচ্ছিল, এটা সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিত ঘটনা।”
পুলিশ সুপার মাকসুদা আক্তার খানম বলেন, “মেহেরপুর জেলায় মব জাস্টিসের ঘটনা ঘটলে আমি তা রুখে দেওয়ার জন্য সর্বদা প্রস্তুত থাকি।”
এবিষয়ে চিৎলা পাটবীজ খামারের জেডি মোর্শেদুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
সাংবাদিক ফয়েজ বলেন, “জেডির সঙ্গে আপস না করলে যে কোনো সময় আমি তার গুন্ডা বাহিনীর হাতে হত্যার স্বীকার হতে পারি।”

Discussion about this post