কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: মেহেরপুর জেলা থেকে সেরা করদাতার পুরস্কার পেলেন কুষ্টিয়ার কৃতি ব্যবসায়ী অজয় সুরেকা।
বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে খুলনা সরকারি মহিলা কলেজ অডিটোরিয়ামে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড.মিহির রঞ্জন হালদার। অজয় সুরেকা একইসাথে কুষ্টিয়া জেলার সেরা ভ্যাট প্রদানকারী।
কর অঞ্চল-খুলনার আয়োজনে কর অঞ্চল-খুলনার কর কমিশনার মোঃ সিরাজুল করিমের সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন খুলনা বেঞ্জ কর আপীলাত ট্রাইব্যুনালের সদস্য শফিকুল ইসলাম আকন্দ, খুলনা সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর টি এম জাকির হোসেন, কর আপীল অঞ্চল খুলনার কর কমিশনার আ. স. ম. ওয়াহিদুজ্জামান,খুলনা এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট কমিশনার মুহম্মদ জাকির হোসেন ও খুলনা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের উর্ধ্বতন সহ-সভাপতি শরীফ আতিয়ার রহমান।
উল্লেখ্য,বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে ও দেশের চলমান অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিশেষ অবদান রাখায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক এই স্বীকৃতি প্রদান করা হয়। কুষ্টিয়ার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ অজয় সুরেকা মেহেরপুর জেলার সেরা করদাতার সম্মাননা পুরস্কার পাওয়ায় তাকে নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। এরআগে অজয় সুরেকা পাঁচ বার সেরা করদাতা সম্মাননা পুরস্কার লাভ করেন।
নানামুখী ব্যবসায়ে জড়িত সুরেকা পরিবার। ইতোমধ্যে পার হয়েছে প্রায় শত বছর। দেশজোড়া খ্যাতি ইতোমধ্যে দখলে এই পরিবারের। পৈত্রিক ব্যবসা স্থান শহরের রাজারহাট বড় বাজার। তবে কাপড় ব্যবসা দিয়ে এই পরিবারের যাত্রা আরম্ভ হলেও বর্তমানে ডিস্ট্রিবিউশন ব্যবসায় বিশেষ দক্ষতা অজর্নকারী অজয় সুরেকা প্রায় ডজনেরও বেশী দেশ-বিদেশী কম্পানির লোকাল ডিস্টিবিউটর। ডিস্টিবিউশন ব্যবসার মধ্যে গ্রামীণ ফোন ও ইউনিলিভার বাংলাদেশ অন্যতম।
কুষ্টিয়া, মেহেরপুর ও চুয়াডাঙ্গায় এই ব্যবসা বিস্তৃত রয়েছে। বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠানের অধীনে প্রায় ৫০০’শর অধিক মানুষ কর্মরত রয়েছেন।
কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় গ্রাজুয়েট অজয় সুরেকা নিজেকে ব্যবসায়ে জড়ান যখন তার পিতা মান্তুরাম সুরেকা ১৯৯২ সালের দিকে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। অজয়ের গতিশীল নেতৃত্বে খুব অল্প দিনেই সুরেকা এন্টাপ্রাইজের সকল ব্যবসা সাফল্য লাভ করে।
ব্যবসার পাশাপাশি অজয় সুরেকা নানা সামাজিক কার্যক্রমের সাথে জড়িত। তিনি ্অগণিত প্রতিষ্ঠানের আজীবন সদস্য। এসব প্রতিষ্ঠানের নানা জনহিতকর কাজে তিনি নানাভাবে সহায়তা করে থাকেন। তিনি ঝরেপড়া শিশুদের শিক্ষায় সহায়তা, অসহায় বয়স্কদের নিয়ে নানারকম জীবন-যাপন সহায়তা করে থাকেন।
এবি//দৈনিক দেশতথ্য//ডিসেম্বর ২৮,২০২২//

Discussion about this post