জে.এম রুমান দেওয়ান, সিদ্ধিরগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি :
মেয়র আইভী আমাকে ডিসলাইক করে’ এমনই একটি শিরোনাম অনলাইন ভিডিওতে ঘুরপাক খাচ্ছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে এ নিয়ে চলছে নেটিজনদের মাঝে আলোচনা ও সমালোচনা। হঠাৎ এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত হওয়ার পর অনেকেই হতবাক!
ভিডিওতে দেখা যায় নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ৭,৮,৯ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর আয়শা আক্তার দিনা দৃঢ় কন্ঠে এ অভিযোগটি করেন। দিনা নারায়নগঞ্জ সিটি করপোরেশন এর ২বারের বিজয়ী কাউন্সিলর।
দিনা বলেন, আমার ওয়ার্ডে অনেক সমস্যা রয়েছে। সবচেয়ে বড় সমস্যা হল ওয়াসার পানির সমস্যা। বিশেষ করে এনায়েতনগর ও পাঠানতুলিতে বেশি সমস্যা। আমার এখানে বড় সাবমারশিবল বসানো প্রয়োজন। যাতে করে পানি কষ্টটা না থাকে। ওয়াসা যেহেতু মেয়রের আন্ডারে এটা মেয়রের দেখা উচিত।আমি যদি মেয়রকে বলি সেটা মেয়র করবেনা। মেয়র আমাকে ডিসলাইক করে।
কেন ডিসলাইক করে এমন প্রশ্নের জবাবে দিনা বলেন, বিগত পাঁচ বছরে কেন আমাকে কাজ দেয় নাই সেটা আমি জানি না। আমি যখন যে কাজ নিয়ে গিয়েছি মুখের উপরে না করে দিয়েছে। এবারের সিটি নির্বাচনে আমি তৈমূর ভাইয়ের পক্ষে কাজ করেছি। আমি বিএনপি করি অবশ্যই আমি তার জন্য কাজ করবো। আমি তো আর নৌকার ভোট চাইবো না। ফাঁসিতে ঝুলাইয়া ফেললেও নৌকার ভোট চাইবো না।
ভিডিওতে দিনা আরও উল্লেখ করেন, মেয়র কি পলিটিক্স করে সেটা আমি জানি না। উনি এসি রুমে বসে বসে বড় বড় কথা বলে। তপ্ত পিচঢালা রাজপথে বৃষ্টিতে ভিজে রোদে পুড়ে আমরা যেভাবে কাজ করে এসেছি সেভাবে আমরা রাজপথে তাকে দেখিনি। উনি বলেছে জয় বাংলা বলে মৃত্যুর আগে মরতে চাই। আরে বাদ দেন তপ্ত রোদে পিচঢালা রাজপথে জয় বাংলা বলেন না আমরা একটু দেখি। ঘরে বসে বললে কি রাজনীতি হয় নাকি।
তিনি বলেন, যেহেতু আমি বিএনপি করি বিএনপির সাথে থাকি এর জন্য আমাকে দেখতে পারেনা। বিভিন্ন কাউন্সিলরদের মুখে শুনি আমাকে নিয়ে নানা কটুক্তি কথা বলে। উনার কথা উনি বলে আমি এগুলো কেয়ার করিনা। সিটি কর্পোরেশনের কাজের আমি আশা করি না। আমি আমার মতো করে কাজ করে যাচ্ছি।
উল্লেখ্য, করোনা দুর্যোগে গর্ভবতী নারীদের সার্বিক সহযোগিতা করে আলোচনায় এসেছিলেন এ নারী কাউন্সিলর। তাকে নারায়নগঞ্জের মাদার তেরেসাও খেতাব দেন অনেকে, তিনি একাধারে নারায়নগঞ্জ মহানগর মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক।
দৈনিক দেশতথ্য// এইচ//

Discussion about this post