নজরুল ইসলাম মুহিব, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারে গেল বছর জুড়ে ধানের ফলন ও দাম ভালো পাওয়ায় চলতি মৌসুমে ব্যাপকভাবে বোরো আবাদে নেমেছেন কৃষকরা। বোরো চাষাবাদকে ঘিরে মাঠে মাঠে চলছে চারা রোপনের শেষ পর্যায়ের কাজ। কৃষি বিভাগ বলছে এ বছর বোরো আবাদের লক্ষমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে। পাশাপাশি স্থানীয় কৃষকরা দাবী করছেন ধানের ন্যায্য মূল্যের।
গত (৮ফেব্রয়ারি) মঙ্গলবার দুপুরে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার আজমেরু এলাকায় জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক কৃষিবিদ কাজী লুৎফুল বারী রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের মাধ্যমে চারা রোপন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা কৃষি অফিসার সুব্রত কুমার দত্ত, স্থানীয় কৃষক ও রাইস ট্রান্সপ্লাটার মালিক সৈয়দ হুমায়েদ আলী শাহীন, উপ সহকারী কৃষি অফিসার নিরোজ কান্তি রায়।
মৌলভীবাজারে বসবাসকারীদের সিংহভাগ জনগোষ্ঠীর জীবন-জীবিকার একমাত্র উপায় কৃষিকাজ। আধুনিকায়ন ও যান্ত্রিক নির্ভর হয়ে পূর্ব পুরুষের এই পেশাকে ধরে রেখে সমৃদ্ধির স্বপ্ন দেখছেন কৃষি নির্ভর মানুষ। উৎপাদিত ফসলের কাঙ্খিত দাম পাওয়া না পাওয়ার উপরই নির্ভর করে তাদের ভাল ও মন্দ থাকা। গেল বছর ধানের দাম ভালো পাওয়ায় এ বছরও অনেকেই আগের চেয়ে বেশি জমি আবাদ করছেন। স্থানীয় কৃষকদের প্রত্যাশা স্থায়ী সেচ ব্যবস্থা ও ধানের নায্য দাম পাওয়া।
স্থানীয় কৃষক ও খামারী সৈয়দ উমেদ আলী শাহীন জানান, গত বছর ৪০ বিঘা জমিতে বোরো ধানের আবাদ করেন। ভালো ফলন ও ধানের দাম পাওয়ায় চলতি বোরো মৌসুমে ৮০ বিঘা (কেয়ার) জমিতে ব্রি ধান ৮৯,৯২ ও হাইব্রিড জাতের ধানীগোল্ড, সিনজেন্টার ১২০৩ ধান চাষ করেছেন।
রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের মাধ্যমে প্রায় ৪৫ বিঘা জমিতে পরীক্ষামূলক ভাবে ২০-৩০ দিনের চারা রোপন করছেন। এতে করে শ্রমিক কম লাগায় উৎপাদন খরচ কমে যাবে। অবশিষ্ট জমিতে পূর্বের পদ্ধতিতে হাতে চারা রোপন করছেন।
দৈনিক দেশতথ্য//এল//

Discussion about this post