শেখ জাহাঙ্গীর আলম শাহীন, লালমনিরহাট: বুধবার দিবাগত রাতে সহকারি কমিশনার তাপসী তাবাসসুম ঊর্মি নামে লালমনিরহাট থানায় রাষ্ট্রদ্রোহিতা ও মানহানির মামলা দায়ের হয়েছে।
লালমনিরহাট সদর থানায় দায়ের করা অভিযোগ সূত্র জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ পুলিশের গুলিতে নিহত হয়।
সেই আবু সাঈদকে ফেসবুকে লালমনিরহাট জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার পদে কর্মরত তাপসী তাবাসসুম ঊর্মি সন্ত্রাসী বলে আখ্যা দিয়ে কটূক্তি করেছেন। এচাড়াও তিনি বর্তমান তত্বাবোধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা কে নিয়েও সমালোচনা করেছেন। এটা ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানকে অবমাননা এবং অন্তর্র্বতীকালীন সরকারকে হুমকি দেওয়ার শামিল। যা মানহানিকর ও রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল।
অভিযোগটি তদন্ত করে দ্রুত নির্বাহী ঊর্মিকে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা গণ। এদিকে আবু সাঈদকে সন্ত্রাসী বলায় নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ঊর্মির বিরুদ্ধে লালমনিরহাটে মামলার আবেদন করেন বুধবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি তাহ হিয়াতুল হাবীব মৃদুল।
মৃদুল লালমনিরহাট সদর উপজেলা সদরের খোর্দ্দসাপটানা এলাকার আহসান হাবীবের ছেলে। অভিযুক্ত তাপসী তাবাসসুম ঊর্মি নেত্রকোণার পূর্বধলা উপজেলার নছিবপুর এলাকার ইসমাইল হোসেনের মেয়ে।
লালমনিরহাট সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। অভিযুক্ত যেহেতু সরকারি কর্মকর্তা এবং দেশের একাধিক স্থানে তার বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
তাই সিনিয়র পুলিশ অফিসারদের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে জেলা প্রশাসনের সূত্রে জানা গেছে, নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সাময়িক বরখাস্ত হওয়ার পর হতে তার কোন খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। সে আত্নগোপনে চলে গেছে। তার স্বজনদের সাথেও কোন যোগাযোগ হয়নি বলে জানা গেছে।