বয়সের ভারে শরীরটি ন্যুব্জ হয়ে পড়েছে। চলাচলের জন্য লাঠিই তার একমাত্র সঙ্গী। বয়স শতবছর পার হয়েছে দু’বছর আগে। এই বয়সেও তিনি কারো সাহায্য ছাড়াই ভোট দিতে এসেছিলেন গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার তালপুকুরিয়া উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে।
আজ রবিবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শেষ হওয়ার কিছু সময় আগে লাঠিতে ভর দিয়ে এক পা দু’পা করে হেঁটে কেন্দ্রে এসে পৌঁছান শতবর্ষ পেরিয়ে যাওয়া বৃদ্ধ সুশীল দেউড়ি।
ভোটদান শেষে কথা হয় তার সাথে। সুশীল দেউড়ি বলেন, হাসিনা (প্রধানমন্ত্রী) আমাগো সব দেছে। আমারে বয়স্ক ভাতা দেছে, আমার জামাইরে এককান ঘর দেছে, আমাগো বাড়ির সামনে সুন্দর একটা রাস্তা দেছে। যদি বাইচকা থাহি ৫বছর পরও শেখ হাসিনারে ভোট দেবো।
খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, সুশীল দেউড়ির বাড়ি কান্দি ইউনিয়নের তালপুকুরিয়া গ্রামে। ৪ বছর আগে তার স্ত্রী আলোমতি দেউড়ি মারা যায়। কোন পুত্র সন্তান না থাকার কারনে সুশীল দেউড়ি আশ্রয় নেন মেয়ে দূর্গা দেউড়ির বাড়িতে। জামাই পরিমল বাড়ৈ একজন দিনমজুর। তারও কোন পুত্রসন্তান নেই। পরিমল বাড়ৈও রয়েছে দুটো কন্যা সন্তান। এখানে মেয়ে, জামাই ও নাতনীকে নিয়ে সুখেই আছেন সুশীল দেউড়ি।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান তুষার মধু বলেন, স্ত্রী মারা যাওয়ার পরে সুশীল দেউড়ি কে আমি একটি বয়স্ক ভাতার কার্ড করে দিয়েছি। সুশীল দেউড়ির জামাই পরিমল বাড়ৈর পরিবারের বসবাসের উপযোগী তেমন কোন ঘর না থাকায় আমি সরকারি ভাবে একটি সেমিপাকা ঘর দিয়েছি। এই ঘরেই মেয়ে জামাইর পরিবারে সুশীল দেউড়ি বসবাস করছেন। আমার এলাকায় গৃহহীন কোন পরিবার নেই। শুধু উন্নয়নই নয়। এ এলাকার মানুষ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভালোবেসেই ভোট দেয়।
এদিকে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্বাচনী এ উপজেলায় শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল ৮ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত একটানা চলে ভোটগ্রহণ। এ উপজেলার ভোটারগণ উৎসবমুখর পরিবেশে কেন্দ্রে গিয়ে ভোট প্রদান করেন।
দৈনিক দেশতথ্য//এইচ//