আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনী হাওয়া শুরু হয়েছে। ভোট দিতে যশোরে প্রায় আড়াই লাখ নতুন ভোটার অপেক্ষার প্রহর গুনছে ।
নির্বাচন অফিস থেকে পাওয়া তথ্যানুযায়ী, ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যশোরের ছয়টি আসনে মোট ভোটার ছিল ২০ লাখ ৯১ হাজার ২৮৪। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ছিল ১০ লাখ ৪৮ হাজার ৫৩৭। নারী ভোটার ছিল ১০ লাখ ৪২ হাজার ৭৪৭। পাঁচ বছরের ব্যবধানে যশোরে ভোটার বেড়েছে ২ লাখ ৪৮ হাজার ৯৪৪। বর্তমানে যশোরের ছয়টি আসনে ভোটার রয়েছে ২৩ লাখ ৪০ হাজার ২২৮।
গত ২০১৮ সালের নির্বাচনে যশোরের ছয়টি আসনেই আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের সাথে ২০ দলীয় জোটের প্রার্থীদের প্রতিদ্বন্দ্বিতায়। যশোর-১ (শার্শা) আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয় আওয়ামী লীগ মনোনীত শেখ আফিল উদ্দিনের সাথে বিএনপির মফিকুল হাসান তৃপ্তির সাথে।
যশোর-২ (ঝিকরগাছা-চৌগাছা) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেজর জেনারেল (অব.) নাসির উদ্দিনের সাথে জামায়াতের মুহাদ্দিস আবু সাঈদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়। নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগের নাসির উদ্দিন।
যশোর-৩ (সদর) আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয় আওয়ামী লীগের কাজী নাবিল আহমেদের সাথে বিএনপির অনিন্দ্য ইসলাম অমিতের। এই আসনে নির্বাচিত হন কাজী নাবিল আহমেদ।
যশোর-৪ (বাঘারপাড়া-অভয়নগর) আসনে আওয়ামী লীগের রণজিত রায়ের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয় বিএনপির ইঞ্জিনিয়ার টিএস আইয়ুবের।
যশোর-৫ (মণিরামপুর) আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয় বর্তমান স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্যরে সাথে ২০ দলীয় জোটের প্রার্থী প্রয়াত মুফতি ওয়াক্কাসের। মুফতি ওয়াক্কাস পরাজিত হন।
যশোর-৬ আসনে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী এএসএইচকে সাদেকের সহধর্মীণি ইসমত আরা সাদেকের সাথে বিএনপি প্রার্থী আবুল হোসেন আজাদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়। আজাদ পরাজিত হন। পরবর্তীতে ইসমত আরা সাদেকের মৃত্যুর পর আসনটি শূন্য হলে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার মনোনয়ন পান এবং নির্বাচিত হন।
দৈনিক দেশতথ্য//এইচ//

Discussion about this post