লেপের দাম ৯০০ টাকা থেকে ১৬০০ টাকা। কাভার ৩৫০ টাকা ৪৮০ টাকা
যশোর অঞ্চলে ভোরের ঘাসে পা রাখলেই মিলছে শিশির বিন্দুর স্পর্শ। গ্রামের পথে পা বাড়ালেই শীতের হাওয়ার পরশ মিলছে। বেড়েছে রাতের কাঁথার কদর । আর কদিন পরেই কাঁথার সাথে প্রয়োজন হবে লেপ-কম্বলের।
লোপ তোষকের কারিগরদের ব্যাস্ততা বাড়িয়ে দিয়েছে শীতের আমেজ। এলাকার লোকজন লেপ-তোষক ও কম্বল সংগ্রহ শুরু হয়েছে। শীতের এই মৌসুমে যশোরের ধূনকাররা লেপ-তোষক তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। সিলিং ফ্যান ও এসির রমরমা বাজার হতে চলেছে অলস।
যশোর শহরসহ আটটি উপজেলার ধূনকারদের জাজিম, বালিশ, লেপ, তোষক তৈরিতে দম ফেলানোর ফুসরত নেই। দোকান মালিক ও শ্রমিকরা শীতে তাদের তৈরিকৃত সামগ্রী দিয়ে দোকান সাজাতে ব্যস্ত। সেলাইয়ের কাজ ও তুলো ধুনার দিকে নজর রাখছে। তৈরি করছে শীতে আরামদায়ক লেপ-তোষকসহ অন্যান্য সামগ্রী। বেশি শীত পড়ার আগেই ক্রেতারা লেপ তোষকের দোকানগুলোতে আগে থেকে পছন্দমত লেপ-তোষক তৈরির অর্ডার দিচ্ছেন। ধুনকাররা ভালো মুনাফার জন্য ও বেশি বিক্রি করার আশায় দিন-রাত পরিশ্রম করে দোকানগুলো সাজিয়ে রাখছেন।
যশোরের গরীবশাহ্ রোডে মুন বেডিং হাউসের বলেন, শীত মৌসুমে লেপ, তোষক, জাজিম, কোল-বালিশ তৈরি শুরু করেছি। ব্যবসা এখনও তেমন জমে উঠেনি। তবে শীত আরো একটু বাড়লে বিক্রি বাড়তে পারে।
যশোরে রেল রোড এলাকার মেসার্স আলিফা এন্টারপ্রাইজের নোমান বলেন , এবার তুলা ও কাপড়ের মান ভেদে সর্বনিম্ন ৯০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১৬০০ টাকা পর্যন্ত লেপের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়াও লেপের কভারের মধ্যে মার্কিন, মকমল ৩৫০ টাকা ও লং ক্লথ কভার বিক্রি করা হচ্ছে ৪৮০ টাকা দরে।’
ধর্মতলা কারবালা রোডে মনজু রইচ শেখ বলেন, শীত পড়তে শুরু করেছে তাই আগে ভাগে রেডিমেট লেপ-তোষক কিনে নিয়ে যাচ্ছি।
এবি//দৈনিক দেশতথ্য//নভেম্বর ১০,২০২৩//