বৃষ্টি থেমে গেলেও চরম ভোগান্তিতে পড়েছে যশোরের অসংখ্য মানুষ। একটু বৃষ্টি হলেই যশোর শহরের অন্তত ১৫টি সড়কে পানি জমে যায়। এর মধ্যে খড়কি, পিটিআই, নাজির শংকরপুর, খড়কি রূপকথা মোড় থেকে রেললাইন, বেজপাড়া চিরুনিকল, মিশনপাড়া, আরবপুর ক্যান্টনমেন্ট, বিমানবন্দর, ষষ্ঠীতলাপাড়ার বিভিন্ন সড়কে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। দুর্ভোগে পড়েন পথচারী ও এলাকাবাসী।
যশোর আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে ৬ অক্টোবর পর্যন্ত যশোরে ১৮১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। ১০ অক্টোবর পর্যন্ত যশোরে আকাশ মেঘলা থাকবে। কখনো কখনো হালকা বৃষ্টি হতে পারে।যশোরে গত দূদিনে রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টিতে তলিয়ে যাওয়া বিভিন্ন এলাকার জলাবদ্ধতায় পানিবন্দী হয়ে পড়েছে অসংখ্য মানুষ।
এদিকে, পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় যশোর শহরের অধিকাংশ ওয়ার্ডে আরো বেশি মাত্রায় জলাবদ্ধতা হয়েছে। রাস্তা তলিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি বাসাবাড়ির ভেতরেও পানি প্রবেশ করেছে। পানির মধ্যে ওয়ার্ডবাসীদের চলাচল করতে হচ্ছে।জলাবদ্ধতায় সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সরকারি মাইকেল মধুসূদন (এমএম কলেজ) কলেজের দক্ষিণ গেট ও বেজপাড়ার এলাকার বাসিন্দাদের।
যশোর পৌরসভার প্রশাসনিক কর্মকর্তা উত্তম কুমার কুন্ডু জানান, বেজপাড়ার পানি সরাসরি হরিণার বিলে পড়তো। সেখানে মেডিকেল কলেজ হওয়ায় পানি নিষ্কাশনের লাইন করা হয়েছে শংকরপুর টার্মিনাল মসজিদের পাশ দিয়ে। সেখান দিয়ে পানি বের হতে সময় লাগবে। কারণ, যে পরিমাণ বৃৃষ্টি হয়েছে তাতে যশোরের বাইরের এলাকাও তলিয়ে গেছে।
পৌরসভার প্যানেল মেয়র মোকসিমুল বারী অপু বলেন, পানি নিষ্কাশনের জন্য কাজ চলছে। দ্রুত সমাধান হয়ে যাবে। পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম শরীফ হাসান বলেন, শহরবাসীর অসচেতনতার কারণেও নালার পানিপ্রবাহ বন্ধ হয়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। রাস্তা ও নালা সংস্কার ও নির্মাণের জন্য এমজিএসপি প্রকল্প প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে
দৈনিক দেশতথ্য//এইচ/