যশোর সদরের কলেজ শিক্ষক আমিনুর রহমান মধু নামে এক কলেজ শিক্ষক কারাগারে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে পড়লে তাকে ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে যশোর সদর হাসপাতালে করোনারী ইউনিটে চিকিৎসা দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
ফেসবুকে ভান্ডাবেড়ী পরা অবস্থায় চিকিৎসা ও খাওয়ার ছবি ভাইরাল হওয়ায় পুলিশের এমন আচরণে মর্মাহত পরিবার ,স্বজনরা। এতে তীব্র সমালোচনার ঝড় ওঠেছে।
ভুক্তভোগী আমিনুর রহমান মধু সদর উপজেলার আমদাবাদ ডিগ্রি কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এবং বাংলাদেশ কলেজশিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সাহিত্য ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক। এছাড়া তিনি যশোর জেলা যুবদলের সহসভাপতি।
পারিবার বলছে, গত ২৯ অক্টোবর রাতে যশোর-নড়াইল মহাসড়কে দুটি বাস থেকে ককটেল, লাঠি ও পেট্রল জব্দের ঘটনায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিতসহ ৮৭ জনকে আসামি করে মামলা করে পুলিশ। ওই মামলায় আসামি যুবদল নেতা আমিনুর রহমান মধু। এরপর হরতাল–অবরোধে নাশকতার আরও দুই মামলার আসামি হন তিনি। ২ নভেম্বর সদর উপজেলার আমদাবাদ গ্রাম থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গত ১২ নভেম্বর যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে থাকা অবস্থায় আমিনুর রহমান মধু হৃদরোগে আক্রান্ত হলে কারাগার থেকে তাঁর দুই পায়ে ডান্ডাবেড়ি ও হাতকড়া লাগিয়ে প্রথমে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখান থেকে অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় ওই রাতেই তাঁকে ঢাকার কেরানীগঞ্জ কারাগারে স্থানান্তর করা হয়। পরদিন ১৩ নভেম্বর কারা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে তাঁকে জাতীয় হৃদ্রোগ ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। দুই পায়ে ডান্ডাবেড়ি ও ডান হাতে হাতকড়া লাগানো অবস্থায় হাসপাতালের মেঝেতে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হয় তাঁকে।
যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মো. শরিফুল আলম বলেন, যশোরের কোতোয়ালি থানার একটি মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে আমিনুর রহমান কারাগারে আসেন। তার হার্টে আগেই রিং পরানো ছিল। কারাগারে আসার পর হৃদ্রোগে আক্রান্ত হলে তাকে প্রথমে যশোর জেনারেল হাসপাতাল ও পরে ঢাকায় নেওয়া হয়। সেখানে কয়েক দিন চিকিৎসার পর মঙ্গলবার ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তাকে যশোরে পাঠানো হয়েছে।
দৈনিক দেশতথ্য//এইচ//

Discussion about this post