সারাদেশের মতো যশোরেও চালের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।
বিশেষ করে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত পরিবারের সদস্যদের মুখে তিনবেলা খাবার তুলে দিতে গলদর্গম হয় অভিবাবককে ৷ চাল ব্যবসায়ীদের দাবি, ধানের দাম বাড়ায় চালের দাম বাড়ছে। তবে কৃষি বিভাগ বলছে, ধানের ফলন ভালো হয়েছে, দাম বাড়ানোর কোনো কারণ নেই।
চালের বাজার ঘুরে দেখা যায়, গত সপ্তাহ খানেক ধরে প্রতি কেজি কাজল লতা চাউল ৫৪ টাকা, মিনিকেট চাউল ৫৬ টাকা, স্বর্ণলতা চাউল ৫০ টাকা, বাসমতি চাউল ৬৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি ২৫ কেজির বস্তায় দাম বেড়েছে ৫০ টাকা করে।শহরের বেজপাড়া থেকে চাল কিনতে আসা দিনমজুর ইব্রাহিম হোসেন বলেন, “শাক-সবজির দাম বাড়লে দুইদিন ডাল ভাত খেয়ে থাকা যায়, কিন্তু চালের দাম এভাবে বাড়তে থাকলে কোন এক সময় ভাত না খেয়ে থাকতে হবে।”
শহরের চুয়াডাঙ্গা বাস্টান্ডের এক দোকান থেকে চাল কিনে ফিরছিলেন মনোয়ারা নানে। তিনি বলেন, “আমরা দিন এনে দিন খাই, দ্রব্য মূল্যের দাম বৃদ্ধি পেলে আমরা হাড়ে হাড়ে এর যন্ত্রণা টের পাই।”
যশোরের ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সৈয়দা তামান্নার মনে করেন, আমরা বাজার তদারকি করছি। আমরা অনেক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি।
ধানের দাম বেড়েছে কি না, আর এ কারণে চাউলের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে কিনা এটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
দৈনিক দেশতথ্য//এইচ//