Print Date & Time : 6 May 2025 Tuesday 1:05 am

যশোরে যে দেয়াল ঘড়ির কাঁটা ঘোরে উল্টো দিকে

বেঁচে থাকার তাগিদে সব শ্রেণীর মানুষকে ছুটে চলতে হয় ঘড়ির কাটার সাথে পাল্লা দিয়ে ৷
কাজের ফাঁকে ক্ষণে ক্ষণে ঘড়ির কাটা কোনদিকে দৌড়াচ্ছে তা দেখে নেয়া অনেকের অভ্যাসেও পরিনত হয়েছে। মানুষের এ অভ্যাসের কথা চিন্তা করেই ১৫৫০ সালে ক্লক ওয়াচ আবিষ্কার করেন পিটার হেনলেইন।

তবে সেই ঘড়িতে কোন কাটা ছিলো না। এরপর ১৫৭৭ খ্রিস্টাব্দে সুইজারল্যান্ডে জোস্ট বার্গি মিনিটের কাটাসহ ঘড়ি আবিষ্কার করেন। তারপর থেকেই শুরু হয় আমাদের ঘড়ির কাটা ধরে ছুটে চলা।

স্বাভাবিক নিয়মে ঘড়ির কাটা ডান দিক দিয়ে উর্ধ্বমুখী ছুটে চলে ৷ তবে যশোরে এক জায়গায় দেখে মিলেছে এক ভিন্ন ঘড়ি ৷যার কাটা চলে উল্টো দিকে অথার্ৎ বামে। শুনতে অবাক লাগলেও এ উল্টো চলা ঘড়ি রয়েছে যশোরের মণিহার সিনেমা হলের দেয়ালে।

প্রথম দেখাতে যে কারও মনে হতে পারে ঘড়িটির নিছক মাথা খারাপ হয়েছে। তবে বিষয়টি মোটেও তা নই। এমন অদ্ভুত ঘড়ি তৈরি করেছেন মনিহার সিনেমা হলের চিপ অপারেটর শফিউজ্জামান মিন্টু। সেই ঘড়ি দেখে ভড়কে যান সিনেমাহলে আগত দর্শনার্থীরা।

কলেজপড়ুয়া মিনহাজ নিজের হাতের ঘড়ির সাথে দেয়ালে টাঙানো ঘড়ির কোন মিল না পেয়ে প্রথমে ভেবেছিলেন ঘড়িটি হয়তো নষ্ট। যদিও পরে জানতে পারেন এভাবেই ঘড়িটি তৈরি করা হয়েছে।

ঘড়িটি ২০২১ সালে জুন মাসে তৈরি করেন শফিউজ্জামান মিন্টু। তিনি বলেন, ‘নতুন কিছু তৈরি করাই আমার নেশা। সেই নেশা থেকেই মূলত এমন ঘড়ি বানানো।যখন প্রথম এমন ঘড়ি বানানোর কথা ভাবি তখন অনেকেই বলেছিলো এটা সম্ভব না, সেই জিদ থেকে আরও বেশি মনোযোগ দিয়ে এই ঘড়ি বানাতে চেষ্টা করি।

দৈনিক দেশতথ্য//এইচ//