Print Date & Time : 6 July 2025 Sunday 1:36 am

যশোরে হিমেল শীতে শিক্ষার্থী উপস্থিতি অর্ধেক 

নিজস্ব প্রতিনিধি (যশোর)

হাড় কাঁপানো শীতে গরম লেপ ছেড়ে উঠতে একেবারেই মনচাইনা। তাই স্কুলে পড়ুয়া কেমলমতি শিশুদের শীতের সাথে  যুদ্ধ করে স্কুলে যেতেহয়। যশোরে  দিনের একেক সময় একেক ধরনের তাপমাত্রা রেকর্ড করা হচ্ছে। সকাল থেকে রাত অবধি হিমশীতল অবস্থা বিরাজ করছে। একান্ত প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হয়নি কেউ। এই হাড় কাঁপানো শীতে সকালে চোখ মুছতে মুছতে সন্তানদের নিয়ে অনেকেরই স্কুলে ছুটতে দেখা যায়। একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গিয়ে ব্যাপক সংখ্যক শিক্ষার্থীর অনুপস্থিতি চোখে পড়েছে।

যশোরে বর্তমানে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক মিলে ৬ লাখ ৬৬ হাজার ১৮৫ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। এরমধ্যে প্রাথমিকে রয়েছে ৩ লাখ ৩৪ হাজার ৬১৩ জন। তার মধ্যে প্রাক-প্রাথমিকে ৫১ হাজার ৭৩৬, প্রথম শ্রেণিতে ৬০ হাজার ২৭৪, দ্বিতীয় শ্রেণিতে ৫৮ হাজার ৯৬৩, তৃতীয় শ্রেণিতে ৫৭ হাজার ৭৯৬, চতুর্থ শ্রেণিতে ৫৫ হাজার ৪৮৮ ও পঞ্চম শ্রেণিতে ৫০ হাজার ৩৫৬ জন শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত। অপরদিকে, মাধ্যমিকে জেলায় শিক্ষার্থী রয়েছে ৩ লাখ ৩১ হাজার ৫৭২ জন।

সপ্তাহ জুড়ে তাপমাত্রা নিম্নমুখি। দেশের অন্যান্য জেলার মতো যশোরও তীব্র শীত পার করছে। এই অবস্থার মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটতে হচ্ছে জেলার লাখ লাখ কোমলমতি শিক্ষার্থীর। বিশেষ করে প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের যাওয়াটা যেন বাধ্যতামূলক! মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের একটি বড় অংশ নতুন কারিকুলামে নম্বর কমে যাওয়ার ভয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে ছুটতে হচ্ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে।

ঠান্ডার মধ্যে লাখ লাখ শিশু শিক্ষার্থীর স্কুলে যাওয়া যেখানে রীতিমতো ঝুঁকিপূর্র্ণ, সেখানে ১০ ডিগ্রির নীচে তাপমাত্রা না নামলে ছুটি দেওয়া যাবে না বলে দায় এড়াচ্ছেন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। যাকে দায়িত্বহীনতা বলছেন লাখ লাখ অভিভাবক। অভিভাবকরা শিশুদের সুস্থতার প্রশ্নে এখনই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার দাবি জানিয়েছেন।

নব কিশলয় স্কুলে নার্সারীতে পড়ুয়া এক শিক্ষার্থীর মা গৃহিনী রত্না বলছিলেন, এতো ঠান্ডার মধ্যে কি বাচ্চাদের নিয়ে বের হওয়া যায়! হয় স্কুলের টাইম পরিবর্তন না হয় স্কুল কিছু দিন বন্ধ রাখার দাবি করেন তিনি৷

যশোর সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘ঠান্ডায় শিক্ষার্থীর উপস্থিতি কমেছে বলে শিক্ষকরা জানিয়েছেন। 

যশোর জেলার দেড় হাজারের বেশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শীতের তীব্রতায়  শিক্ষার্থী উপস্থিতি অর্ধেকে নেমেছে। এ অবস্থায় অভিভাবক ও শিক্ষকরা এখনই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ কিংবা সময় পরিবর্তনের দাবি জানিয়েছেন।

এবি//দৈনিক দেশতথ্য//জানুয়ারী১৮,২০২৪//