নিজস্ব প্রতিনিধি (যশোর): যশোরে রেলস্টেশন এলাকার ১৫ মামলার আসামি জুম্মান হোসেন (৩৮) কে প্রতিপক্ষ কুপিয়ে হত্যা করেছে ।
গতকাল শনিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে শহরের রেলস্টেশনের পুকুরপাড়ে এই হত্যার ঘটনা ঘটে। নিহত জুম্মান হোসেন শহরের শংকরপুর জমাদ্দারপাড়ার পকেটমার মুরাদ হোসেনের ছেলে।
নিহত জুম্মানের নামে যশোর কোতোয়ালি থানায় ১৫টি মামলা রয়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, শহরের চাঁচড়া রায়পাড়া এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী ভাইপো রাকিবের নেতৃত্বে প্রিন্স, ট্যাটু সুমন, আসিফ, ভোলা, রনি, পিচ্চি রাজা, পিচ্চি হাসান, সবুজ, ও মুরাদসহ কয়েকজনের একটি গ্রুপ রয়েছে। অপরদিকে জুম্মান অন্য একটি গ্রুপের সাথে চলাফেরা করে। তাদের আধিপত্য এবং অসামাজিক কর্মকাণ্ডের বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল।
জুম্মানের খালা লিপি বেগম বলেছেন, ভাইপো রাকিবের নেতৃত্বে গ্রুপের সাথে পূর্ব বিরোধের জের ধরে জুম্মানকে খুন করেছে।
কোতোয়ালি থানা পুলিশের পরিদর্শক (অপারেসন্স পলাশ বিশ্বাস বলেছেন, নিহত জুম্মানের নামে অস্ত্র, বোমাবাজি, চাদাবাজি, ছিনতাই মাদকসহ দেড় ডজন মামলা রয়েছে। হত্যার সাথে জড়িতদের আটকে অভিযান চালানো হচ্ছে।
অপরদিকে, যশোর সদরের রাজারহাট রামনগরের সুতিঘাটা এলাকায় রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চোর সন্দেহে গণপিটুনিতে এক যুবক নিহত হয়েছেন।নিহত যুবকের নাম ফয়েজুল গাজী (২৭)। তিনি যশোর সদর উপজেলার গোলদার পাড়া সতীঘাটা গ্রামের জালাল উদ্দিন গাজীর ছেলে।
পুলিশ জানিয়েছেন,রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে যশোরের রাজারহাট রামনগরের সুতিঘাটা এলাকায় চোর সন্দেহে তাকে মারপিট করা হয়। পরে কোতোয়ালি থানা পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় ৩ জনকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
নিহতের স্বজনেরা জানান,ফয়েজুল গাজী একটি ইট ভাটায় কাজ করেন। ভাটা থেকে কাজ শেষ করে বাড়ি ফেরার পথে চোর সন্দেহ করে স্থানীয়রা তাকে ধরে নিয়ে এক কারখানার মধ্যে দড়ি দিয়ে বেঁধে হাতুড়ি ও লোহার রড দিয়ে মারপিট করে।
যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আব্দুর রাজ্জাক বলেন,গণপিটুনিতে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। চোর সন্দেহে তাকে স্থানীয় জনতা মারপিট করেছে বলে প্রাথমিক তথ্য মিলেছে। এ ঘটনায় ৩ জনকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
দৈনিক দেশতথ্য//এইচ//

Discussion about this post