মোঃ রাসেল, বরগুনা: বরগুনা থেকে ঢাকাগামী যাত্রীদের না নিয়ে সময় হওয়ার পাচ থেকে ছয় ঘন্টা আগেই ছেড়ে গেছে তিনটি লঞ্চ। বরগুনা সদর ও আমতলী লঞ্চঘাট থেকে বুকিং দেয়া যাত্রীদের না জানিয়েই সকালে ছেড়ে যায় সুন্দরবন-৭, রয়েল ক্রুজ ও শতাব্দী বাধন নামে তিনটি লঞ্চ। এতে বিপাকে পড়েছে বরগুনা থেকে ঢাকাগামী সাধারণ যাত্রীরা।
জানা যায়, বরগুনা জেলার সদর উপজেলার পৌরশহরের সদরঘাট ও আমতলী ঘাট থেকে প্রতিদিন বিকেল ৩ টা ও ৪ টায় ঢাকার উদ্দেশ্য প্রতিদিন তিনটি লঞ্চ ছেড়ে যায়। কিন্তু শুক্রবার (২৯ এপ্রিল) খুব সকালে ঢাকা থেকে আসা যাত্রীদের বরগুনা ঘাটে নামিয়ে দিয়েই সঙ্গে সঙ্গে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় রয়েল ক্রুজ লঞ্চটি। আমতলীর সুন্দরবন-৭ ও শতাব্দী বাধন লঞ্চ দুটিও একইভাবে সকালেই ছেড়ে যায়।
সিডিউল অনুযায়ী প্রতিদিন বিকেলে লঞ্চ ছাড়ার কথা থাকলেও আজ সকালেই ঢাকার যাত্রী নিয়ে ছেড়ে গেছে লঞ্চগুলো। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ যাত্রীরা। এমনি লঞ্চের কেবিন প্রি-বুকিং করা যাত্রীদেরও কিছু না জানিয়ে ছেড়ে গেছে এই লঞ্চগুলো।
হারুন মৃধা নামে বরগুনার এক যাত্রী বলেন, আমি বরগুনা পৌরশহরে ব্যবসা করি। দোকানের মাল আনতে ঢাকা যাওয়ার জন্য রয়েল ক্রুজে আগে থেকেই একটি কেবিন বুক করি। লঞ্চ বিকেল ৪ টার সময় ছাড়ার কথা থাকলেও ঘাটে এসে দেখি সকালেই লঞ্চ চলে গেছে।
জাফর, মানিক, জাহাঙ্গীর সহ আমতলীর কয়েকজন যাত্রী বলেন, আমরা আমতলী থেকে ঢাকা যাওয়ার জন্য আগে থেকেই কেবিনের টিকেট কেটেছি। কিন্তু আমাদের না নিয়েই লঞ্চটি ছেড়ে গেছে। এদিকে বাসের টিকেটও পাওয়া যাচ্ছে না। কিভাবে ঢাকা যাবো এখন, ঢাকা যাওয়াটা খুব আমাদের জন্য খুব জরুরি।
বরগুনার কাকচিড়া লঞ্চ ঘাটের যাত্রী বৃদ্ধা জামিনা বেগম বলেন, কাল আমার ডাক্তার দেখানো জন্য সিরিয়াল রাখা, ঢাকা যাবো ডাক্তার দেখাতে। আর আমি বাসে চলাচল করতে পারি না তাই লঞ্চে কেবিন বুকিং করেছিলাম। কিন্তু এখন আমি কিভাবে ঢাকা যাবো ডাক্তার দেখানের জন্য আর এই ডাক্তারের সিরিয়াল পেতে কয়েকদিন লেগে যায়।
আমতলী ঘাটের দায়িত্বে থাকা শহীদ মিয়া জানান, দশ বিশজন যাত্রীর ভোগান্তির জন্য মালিক পক্ষ বেশি যাত্রী নষ্ট করবে না তাই লঞ্চ ছেড়ে গেছে।
অনেক যাত্রী ঢাকা যাওয়ার জন্য ঘাটে এসেছে তারা জানেনা লঞ্চ ছেড়ে গেছে। এখন ঈদের সময় যাত্রীরা কিভাবে যাবে।
এ বিষয়ে বরগুনা জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান বলেন, অন্যায় কাজ করেছে লঞ্চ কর্তৃপক্ষ। আমরা খোজ নিয়ে দেখব, এবং উর্ধতন কতৃপক্ষের সাথে কথা বলে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেব যাতে এই ধরনের কাজ আর কখনও না করে লঞ্চ কর্তৃপক্ষ।
দৈনিক দেশতথ্য//এল//

Discussion about this post