Print Date & Time : 23 April 2025 Wednesday 3:24 am

যৌতুক দাবি, টাকা দিতে না পেরে জীবন দিল গৃহবধূ

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে স্বামীর যৌতুকের যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে মিরা খাতুন(১৮)নামের এক গৃহবধূ।

মঙ্গলবার (২২ আগষ্ট) দিবাগত রাত ২টায় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। নিহত মিরা খাতুন উপজেলার শিলাইদহ ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের মির্জাপুর গ্রামের বিল্লাল হোসেনের মেয়ে ও একই ইউনিয়নের কোমরকান্দি গ্রামের বিপুল হোসেনের স্ত্রী।

নিহত মিরা খাতুনের চাচা মতিয়ার হোসেন বলেন, তিন মাস আগে পারিবারিকভাবে শিলাইদহ ইউনিয়নের কোমরকান্দি গ্রামের বিপুল হোসেনের সঙ্গে বিয়ে হয় মিরা খাতুনের। বিয়ের পর থেকেই ৩ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করে আসছিল স্বামী বিপুল হোসেন ও তার পরিবারের লোকজন। যৌতুকের টাকার জন্য মিরাকে বার বার চাপ ও মারধর করা হলে এসব সইতে না পেরে মঙ্গলবার বিকেলে তার বাবার বাড়ির ঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করলে পরিবারের লোকজন টের পেয়ে আহত অবস্থায় মিরা খাতুনকে উদ্ধার করে কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তার অবস্থা অবনতি ঘটলে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২টার দিকে তার মৃত্যু হয়। নিহত মিরার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

এ বিষয়ে নিহত মিরার স্বামী বিপুল হোসেনের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তিনি এ ব্যাপারে কথা বলতে রাজি হননি।

এ বিষয়ে কথা বলতে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও)তাপস কুমার সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া গেছে।

এ বিষয়ে কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আকিবুল ইসলাম জানান, বিষয়টি আমি শুনেছি। এ ব্যাপারে থানায় এখন পর্যন্ত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলেই তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

খালিদ সাইফুল // দৈনিক দেশতথ্য // ২৩ আগষ্ট ২০২৩