মো:ফয়সাল আলম,রাজশাহী প্রতিনিধি:
রাজশাহীতে অপহৃত এক শিশুর লাশ একটি পুকুর থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে।
সোমবার ভোরে নগরীর ছোটবনগ্রাম খোরশেদের মোড়ের একটি পুকুর থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয়।
প্রায় ১০ বছর বয়সী মেয়ে শিশুটির নাম আনিকা। সে নগরীর নওদাপাড়া এলাকার আজিম উদ্দিনের মেয়ে। শিশুটি বাড়ির পাশের গাছ থেকে করমচা পাড়ছিল। এ সময় স্থানীয় একটি হোটেলের এক কর্মচারী তাকে ডেকে নিয়ে যায়। এটি গত শনিবার বিকেল পাঁচটার দিকের ঘটনা।
এর পর থেকে শিশুটির আর কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি। প্রায় ৩৬ ঘণ্টা পর সোমবার সকাল ছয়টার দিকে ছোটবনগ্রাম খোরশেদের মোড়ের একটি পুকুর থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় তার কানের সোনার রিং ছিল না।
পুলিশের ধারণা, শিশুটিকে ধর্ষনের পর হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ সোমবার ভোর চারটার দিকে ওই হোটেল কর্মচারীকে নাটোর থেকে আটক করে। ৩০ বছর বয়সী ওই হোটেল কর্মচারীর নাম পলাশ। তার বাড়ি রাজশাহী মহানগরের বড় বনগ্রাম এলাকায়।
শাহমখদুম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম জানান, নাটোর থেকে ওই হোটেল কর্মচারীকে আটক করা হয়। তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী পুকুর থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয়। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, শিশুটির দাদি স্থানীয় একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আয়া পদে চাকরি করেন। সেই সুবাদে শিশুটি প্রায়ই দাদির কাছে যেত। হোটেল থেকে নাশতা নিয়ে আসত। এভাবেই ওই হোটেল কর্মচারীকে চিনত সে। শনিবার বিকেলে শিশুটি যখন করমচা পাড়ছিল তখন ওই হোটেল কর্মচারী গিয়ে তাকে ইদের সালামি দেওয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে যায়। সন্ধ্যার পর থেকেই আনিকাকে না পেয়ে তার পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করেন।
পুলিশ জানায়, এ ঘটনায় রাতেই শিশুটির বাবা থানায় একটি জিডি করেন। এর পর পুলিশ শিশুটিকে উদ্ধারে তদন্তে নামে। তদন্তের পর নগরের বড় বনগ্রাম এলাকার শাহিনের ছেলে পলাশের সম্পৃক্ততার তথ্য পাওয়া যায়। তবে পলাশকে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরবর্তীতে আনিকাকে উদ্ধার ও পলাশকে ধরতে পুলিশের দু’টি টিম কাজ শুরু করে। পুলিশ আরও জানায়,ধর্ষনের পর সুযোগ বুঝে লাশ পুকুরে ফেলে পালিয়ে যায় পলাশ। আর কাপড় একটি ঝোপে রেখে দেয়। এছাড়া আনিকার কানের স্বর্ণের দুল খুলে নিয়ে যায় পলাশ।
দৈনিক দেশতথ্য// এইচ//