রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে পুকুরে নিখোঁজ শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার সকালে গিয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করেছে। শুক্রবার ( ৬ অক্টোবর ) রাতে মাছ ধরা জালে আটকা পড়ে তার মরদেহ। এর আগের দিন বৃহস্পতিবার পানির স্রোতে ভেসে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছিলেন তিনি।
নিহত শ্রমিকের নাম মোকসেদ আলী (৫৫)। তিনি দুর্গাপুর উপজেলার ঝালুকা গ্রামের বাসিন্দা।
পুলিশ বলছে, গত বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার সারা দিনের বৃষ্টিতে গোদাগাড়ীর বিল পাতিকোলা ও কমলাপুর বিলের শত শত পুকুর ভেসে যেতে শুরু করে। কমলাপুর বিলে এক মালিকের পুকুর রক্ষার জন্য বৃহস্পতিবার ২৫ জন শ্রমিক দুর্গাপুর থেকে কমলাপুর বিলে গিয়েছিলেন।
তারা মালিকের অপেক্ষাকৃত নিচু পুকুরগুলো থেকে ওপরের পুকুরে মাছ তুলে আনার কাজ করছিলেন। এসময় উপজেলার চারটি ইউনিয়নের বৃষ্টির পানি প্রবল বেগে কমলাপুর বিলে নামতে থাকে। পুকুরের মাছ ধরার কাজে নিয়োজিত ২৫ জন শ্রমিক ওই স্রোতে ভেসে যান।
এসময় স্থানীয়রা পুলিশের জরুরি সেবার ৯৯৯ এ ফোন করেন। পরে পুলিশ এসে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় এই ২৫ জন শ্রমিকের মধ্যে ২৪ জনকে উদ্ধার করে। নিখোঁজ ছিলেন মোকসেদ আলী।
মোকসেদ আলীর নিকট আত্মীয় মজিবুর রহমান শুক্রবার দিবাগত রাতে জানিয়েছিলেন, কমলাপুর বিল থেকে পানির স্রোত বারণই নদীতে গিয়ে পড়েছে। পানির স্রোত যেদিকে গেছে তারা সেই দিক দিয়ে মোটরসাইকেল ও মাইক্রোবাস নিয়ে খোঁজাখুঁজি করেও মোকসেদ আলীর সন্ধান পাননি।
স্থানীয়রা বলছে, কমলাপুর বিলে দুই থেকে আড়াই হাজার বিঘা জমিতে পুকুর ছিল। ভারী বর্ষণে সব পুকুর ভেসে গেছে। এই মাছ সারা বিলে ছড়িয়ে পড়েছে।
বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার সারা দিন বিভিন্ন এলাকার শত শত মানুষ এই বিলে মাছ ধরতে নামেন। তারা জাল দিয়ে সারা বিল ঘিরে ফেলেন।
শুক্রবার রাতে মাছ ধরার জালে মোকসেদ আলীর মরদেহ আটকা পড়েছিল। দূরে যাতে ভেসে যেতে না পারে এ কারণে মরদেহ আটকে রেখেছিলেন মাছ ধরতে যাওয়া লোকজন। সকালে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করেছে।
এ বিষয়ে গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম বলেন, ‘মোকসেদ আলীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
পরিবারের লোকজন এসেছেন। তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে একটি অপমৃত্যুর মামলা করে ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ স্বজনদের দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।’
দৈনিক দেশতথ্য//এইচ/