মোঃ ফয়সাল আলম রাজশাহী প্রতিনিধি : রাজশাহীর চারঘাট উপজেলায় টানা বর্ষণ ও নদীর খরস্রোতের কারণে নদীতীরের ভাঙন ও আতঙ্ক বৃদ্ধি পাচ্ছে।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নদীপাড়ে বসবাসরত মানুষরা বন্যার আশঙ্কা করছেন। এছাড়া কয়েকটি এলাকায় নদীতীরের ভাঙনের খবরও পাওয়া গেছে। স্থানীয়রা বলছেন, পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে বড় ধরনের বন্যা ও তীব্র ভাঙন দেখা দিতে পারে। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, নদীর পানি এখনও বিপদসীমার নিচে রয়েছে।
রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, গত সাতদিনে জেলার এই এলাকায় প্রায় ১৩৬.৩ মিমি বৃষ্টিপাত হয়েছে, যা মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টিপাতের মধ্যে পড়ে। ভারি বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা পানির কারণে চন্দনশহর, পিরোজপুর ও গোপালপুর এলাকার প্রায় ২০০ বিঘা কৃষি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এছাড়া শতাধিক মানুষ নিঃস্ব হয়েছেন। হুমকির মধ্যে রয়েছে প্রাথমিক বিদ্যালয়, মসজিদ, রাস্তাসহ একাধিক বসতবাড়ি।
সোমবার (১১ আগস্ট) সরেজমিনে দেখা যায়, চারঘাট পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ড সংলগ্ন গোপালপুর গ্রাম ও চন্দনশহরের নদীতীর প্রায় এক কিলোমিটার অংশের একশ’ ফুট অঞ্চল নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। পিরোজপুর-২ ও চন্দনশহরের প্রায় ৩০০ পরিবার ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে। স্থানীয়রা টিন, বাঁশ ও গাছ ব্যবহার করে স্ব-উদ্যোগে নদীতীর রক্ষা করার চেষ্টা করছেন। তবে গত তিন দিনে নদীতে আরও ১০ ফুট ভাঙন দেখা দিয়েছে।
ভাঙনের কারণে নিজের জমি ও ঘরের ক্ষতির কথা জানিয়ে গোপালপুর গ্রামের মোসাররফ হোসেন বলেন, “ভাঙন ভয়ঙ্কর রূপ নেবার আগে স্থানীয় প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে।” চন্দনশহরের রোকেনা ও চম্পা বেগম জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ড মাপঝোক করেও এখনও কার্যকর প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।
পানি উন্নয়ন বোর্ড, রাজশাহীর উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী পার্থ সরকার জানিয়েছেন, “উপজেলার দুইটি নদীর পানি কয়েকদিন ধরে বৃদ্ধি পাচ্ছে। নদীর পানি এখনও বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কিছু স্থানে প্রবল স্রোতের কারণে ভাঙন দেখা দিচ্ছে। সরেজমিনে পরিদর্শন করে দ্রুত ভাঙন প্রতিরোধের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”