মোঃ ফয়সাল আলম রাজশাহী প্রতিনিধি:
রাজশাহীতে বাসশ্রমিক ও সিএনজি চালকদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ২ জন আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) সকালে নিউমার্কেট ষষ্ঠীতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নগর বিএনপি’র সদস্য সচিব মামুনুর রশিদ মামুন নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, দুই পক্ষের সংঘর্ষের মীমাংসার জন্য বোয়ালিয়া ডিসি মহোদয় আমাকে দায়িত্ব দেয়। যার পরিপ্রেক্ষিতে সকাল ১১ টায় চেম্বারে আসার পর মোটরশ্রমিকের নেতা ও শ্রমিকরা এখানে আসলেও সিএনজি শ্রমিকরা আসেনি। প্রায় ঘন্টা খানেক অপেক্ষার পর হারুর নেতৃত্বে ৬০/৭০ জনের একটি বড় মিছিল নিয়ে চেম্বারের সামনে এসে বলে, ‘মোটরশ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক পাখি কোথায়, পাখি কোথায়।’ এ বলেই আমার সামনেই হারুর নেতৃত্বে মোটরশ্রমিকের ৩/৪ জনকে কিলঘুষি মেরে আহত করা হয়। তিনি আরো বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে আমার কাছে মনে হয়েছে উভয়পক্ষের মধ্যে মিমাংসা করাটা প্রয়োজন। তবে এভাবে একটা মিমাংসায় বাধা প্রদান ও মিমাংসার স্থানে মারামারি করা একটি ষড়যন্ত্র বলে মনে করছি। এখানে তৃতীয় পক্ষ নিজেদের খারাপ উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করার জন্য এ ঝামেলাটা তারা সমাধান চাচ্ছে না। সেজন্যই তারা এ মিমাংসাকে বাধাগ্রস্ত করেছে। আমি চাই আমি বাদে অন্যকারও মাধ্যমেও যদি তারা সমাধান নেয় তাহলে নিক তবুও দুই পক্ষের মধ্যে অতি দ্রুত মিমাংসা হোক ও সকলে স্বাভাবিকভাবে গাড়ী চালাক।
এদিকে বিএনপি নেতা মামুনের অভিযোগটি অস্বীকার করে নগর যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি মাইনুল হক হারু বলেন, মিমাংসার প্রস্তুতির জন্য আমরা রেলগেট এলাকায় জমায়েত হচ্ছিলাম। এমন সময় মোটর শ্রমিকের নেতা পাখি ও হেলালের নেতৃত্বে পাখির ভাগনা শাকিল আমাদের শ্রমিকদের উপর অতর্কিতভাবে হামলা চালিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। তারপর মীমাংসার স্থানে পাখি রয়েছে এমন সংবাদ শোনার পর আমরা সেখানে উপস্থিত হয়েছি তবে এখানে আসার পর কাওকে পাইনি। তারা পালিয়ে গেছে।
তিনি বলেন, এ বিষয়ে প্রশাসনের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। আমরা কোনো দলীয় নেতার মাধ্যমে সমাধান চাই না। আমাদের যা সমাধান হবে সম্পূর্ণ প্রশাসনের মাধ্যমে হবে।
এর আগে গত সোমবার সকালে তানোর উপজেলা সদরের সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালকেরা বাসের ছয়জন চালক, চালকের সহকারী ও কন্ডাক্টরকে পিটিয়ে আহত করেন। এর জেরে ওইদিন থেকে রাজশাহীর সাথে সারাদেশের বাস চলাচল বন্ধ হলেও পরবর্তীতে আবারও বাস চলাচল শুরু হয়। তবে সুষ্ঠু সমাধান না হওয়া পর্যন্ত রাজশাহী থেকে নওগাঁ রুটে বাস চলাচল করতে দিবে না বলে ঘোষণা দিয়েছে সিএনজি চালকেরা। এ ঘটনার পর দুই পক্ষই কোনো রাজনৈতিক মিমাংসা চায় না। তারা প্রশাসনিক মিমাংসার মাধ্যমেই ঘটনাটির সুষ্ঠু সমাধান চান।