মোঃ ফয়সাল আলম, রাজশাহী প্রতিনিধি : সুমিষ্ট আম কেনা-বেচায় জমে উঠেছে রাজশাহীর হাট বাজারগুলো। গোপালভোগের পরে রাজশাহীর বাজারে পাওয়া যাচ্ছে রানীপছন্দ ও লক্ষণভোগ।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বর হাট দিনভর আম কেনাবেচায় মুখর ছিল। আম বিক্রিতারা বলছেন- জমে উঠেছে রাজশাহীর আমের হাট বাজার।
শুক্রবার (৩০ মে) থেকে বাজারে পাওয়া যাচ্ছে হিমসাগর ও খিরসাপাত জাতের আম। বানেশ্বর হাট সংশ্লিষ্টরা বলছেন- প্রতিদিন ভালো কেনাবেচা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) জেলার সবচেয়ে বড় আম কেনাবেচার মোকাম বানেশ্বর হাটে গুটি জাতের আম কেনাবেচা হয়েছে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা মণ দরে। এছাড়া গোপালভোগ বিক্রি হয়েছে ১৪০০ থেকে ১৬০০ টাকা মণ দরে। লক্ষণভোগ বিক্রি হয়েছে ৫০০ থেকে ৭৫০ টাকা মণ, রাণীপছন্দ ৭০০ থেকে ১ হাজার টাকা মণ দরে।
তবে প্রশাসনের বেধে দেওয়া ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ল্যাংড়া, হিমসাগর আম পাড়ার সময় না হলেও বানেশ্বর হাটে কেনা বেচা হয়েছে এই দুই জাতের আম। হাটে প্রতিমণ ল্যাংড়া আম কেনা বেচা হয়েছে ১২০০ থেকে ১৪০০ টাকায়। আর হিমসাগর বিক্রি হয়েছে ১২০০ থেকে ১৭০০ টাকা মণ দরে। যদিও হিমসাগর আম গেল তিনদিন আগেও বিক্রি হয়েছে ১৬০০ থেকে ২২০০ টাকা দরে। তবে কিছুটা কমেছে এই আমের দাম।
হাট সংশ্লিষ্টরা বলছেন-বানেশ্বর হাটে আমের ক্রেতা সারাদেশের। ব্যবসায়ীরা এখানে আম কিনতে আসেন। এই হাটে ব্যবসায়ীরা সরাসরি বাগান থেকে পছন্দমত আম কিনতে পারেন। আম কিনে তারা নিজেদের স্থানীয় হাটে বিক্রি করে থাকেন। রাজশাহীর আমের সুনাম থাকায় সারাদেশে চাহিদাও ব্যাপক।
আম বিক্রেতা সফিকুল ইসলাম বলেন, গুটি জাতের আম হাটে কমে আসছে। হাটে গুটি জাতের আম বিক্রি হয়েছে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা মণ দরে। গোপালভোগ ১৪০০ থেকে ১৬০০ টাকা মণ ও লক্ষণভোগ বিক্রি হয়েছে ৫০০ থেকে ৭৫০ টাকা মণ এবং রাণীপছন্দ ৭০০ থেকে ১ হাজার টাকা মণ দরে। আমের দাম কমে গেছে। ইদের পরে বাড়তে পারে।
ঢাকার আম ব্যবসায়ী ফারুক হোসেন দাবি করেন-গত বছরের চেয়ে এবার আমের দাম তুলনামূলক কম। তার ধারণা আসন্ন ইদকে কেন্দ্র করে অনেকেই দেশের বাড়িতে ফিরে যাবেন। তাই অনেকেই বেশি করে আম কিনছেন না। মাত্র কয়েকদিন খাওয়ার জন্য আম কিনছেন। তবে ঈদের ছুটি শেষে মানুষ কর্মময় জীবনে ফিরবে। সেই সময় বাড়তে পারে আমের দাম। এবার আমের আকার ও রঙ ভালো।
এ বিষয়ে বানেশ্বর হাটের ইজারাদার জাকির হোসেন সরকার রাসেল বলেন, আমের বাজার জমেছে। প্রতিদিন দূরদূরান্ত থেকে আসা ক্রেতা-বিক্রেতায় মুখর হয়ে থাকছে বানেশ্বরের আমের হাট। আমদানি বেশি হওয়ায় আমের বাজার এখন একটু কম।

Discussion about this post