Print Date & Time : 12 May 2025 Monday 6:53 pm

রামগঞ্জে ফসলি জমির মাটি লুট , স্কুল মাঠের বেহাল দশা

রামগঞ্জ (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধিঃ লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে ফসলি জমির মাটি লুটের অভিযোগ উঠেছে মাটি ব্যবসায়ী খোকন ও সাইফুলের বিরুদ্ধে। ৬ জানুয়ারি শুক্রবার রাতের আঁধারে উপজেলার ডোননদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনের জমি থেকে ভেকু দিয়ে মাটি কেটে নিয়ে যায় স্থানীয় পাটওয়ারী বাড়ীর সাফায়েত আহমেদ খোকনের ও সাইফুলের নেতৃত্বে স্থানীয় ভূমিদস্যুরা।

৭ জানুয়ারী শনিবার সকালে সরেজমিনে গেলে দেখা যায়, জমির উত্তর পার্শ্বে ২০ ফুট গভীর পুকুর কাটা হয়েছে। এরফলে অযোগ্য হয়ে পড়েছে স্কুলের শিক্ষার্থীদের একমাত্র খেলার মাঠ।

এলাকাবাসী জানান, গভীর রাতে ট্রলির আওয়াজ শুনে বাহিরে বের হয় আশেপাশের বাড়ির লোকজন। এসময় ভেকু দিয়ে মাটি কেটে শতাধিক ট্রলি দিয়ে পার্শ্ববর্তী ইট ভাটায় মাটি নিয়ে যেতে দেখেছেন তারা।
জমির মালিক আমিন উল্যা পাটওয়ারীর বড় ছেলে মঞ্জুরুল আমিন ফারুক জানান, ব্যাবসায়িক সুবাদে আমরা ঢাকায় থাকি, আমার বাবা অসুস্থ থাকায় গ্রামে আসা হয়না। এ সুযোগে খোকন ও সাইফুল বিভিন্নসময় আমাদের পুকুরের মাছ নিধন, গাছপালা কেটে নিয়ে যায়। গতরাতে আমার কেয়ারটেকার করিমের মাধ্যমে জানলাম তারা রাতের আঁধারে আমাদের জমির মাটি কেটে নিয়ে যায়।
এবিষয়ে অভিযুক্ত সাফায়েত আহমেদ খোকন ও সাইফুলের মোবাইলে নাম্বারে বার বার কল করেও রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া যায়নি।

ডোননদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) নূর জাহান বলেন, আমরা বৃহস্পতিবার স্কুল শেষে বাড়ী চলে যাই। কে বা কারা স্কুল মাঠের এ দূরাবস্থা করেছে তা জানিনা। বিষয়টি উর্ধতন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুল মোহায়মেনকে জানানো হয়েছে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মীরন হোসেন মিরন বলেন, জমির মালিক আমিন উল্যা পাটওয়ারী। কিন্তু খোকন রাতের আঁধারে ভেকু দিয়ে মাটি কেটে নিয়ে যায়। শতাধিক অবৈধ ট্রলি দিয়ে মাটি বহন করায় স্কুল মাঠের দূরাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

রামগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আবদুল মোয়াইমেন বলেন, বিষয়টি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুর জাহান আমাকে জানায়নি। খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ রায়হান হোসেন, জামির উপরিভাগ কেটে নেওয়ায় ফসলের উৎপাদন ক্ষমতা দিনদিন কমে যাাচ্ছে। উৎপাদন ক্ষমতা বাড়াতে যে কোন উপায়ে টপ সয়েল বিক্রিতে কৃষকেদের আরো সচেতন হতে হবে।

রামগঞ্জ থানার ওসি মোঃ এমদাদুল হক জানান, খবর পেয়ে খোকন ও বেকুর মালিক কিরনকে কাজ বন্ধ রাখার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।এরপরেও নির্দেশ অমান্য করে মাটি কাটা হলে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে হাবীবা মীরা জানান, কোন ফসলী জমির মাটি কাটা আইন পরিপন্থী। সরেজমিন পরিদর্শন করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

দৈনিক দেশতথ্য//এসএইচ//