রামগঞ্জে প্রতিদিনই বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সংস্কার কাজ চলমান থাকায় সিট সমস্যায় রোগীরা ছুটতে হয়েছেন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ।
এ সুযোগে প্রাইভেট হাসপাতাল ও ক্লিনিক গুলো বাড়তি টাকা আদায় করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
তবে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তৃপক্ষ বলছে, ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে দ্রুত কাজ শেষ করা জন্য বলা হয়েছে। শিগগিরই এ সংকট কেটে যাবে ।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, জুলাই মাসের মধ্যবর্তি সময় উপজেলায় ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়। এখন পর্যন্ত ৮০জন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। বর্তমানে ভর্তি আছেন ৩জন। ৭৭জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। হাসপাতালের পুরাতন ভবনের সংস্কার কাজ চলমান থাকায় ২০ শষ্যার ভবনটিতে সকল রোগীদের চিকিৎসা দিতে হয়।
এদিকে রোগী সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে চিকিৎসকদের। তাই বেশী ভাগ রোগী প্রাইভেট হাসপাতাল ও ক্লিনিকে চিকিৎসা নিয়ে থাকেন।
দেহলা গ্রামের তাছলিমা বেগম, সমেষপুর গ্রামের আবু জাফর, ভাদুর গ্রামের রেজাউল করিম ৭/৮ জনের সাথে আলাপ করলে তারা জানান, দীর্ঘদিন থেকে হাসপাতালে ভবন মেরামতের কাজ চলছে। তাই একটি ভবনে ডেঙ্গু রোগীসহ সাধারন রোগী বাহিরের বারিন্দাসহ ফ্লোরে থাকতে হয়। মানুষের খুব কষ্ট, তাই টাকা বেশি গেলেও মানুষ এখন প্রাইভেট হাসপাতালে যাচ্ছে ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালের একজন কর্মচারী বলেন, হাসপাতালের সংস্কার কাজ জুন মাসের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও ঠিকাদার নিজের ইচ্ছা মত কাজ করছে। এখনও কাজ শেষ হয়নি। কবে শেষ হবে কেউ জানে না তাই হাসপাতালে আসা রোগী, ডাক্তার কর্মচারীসহ সবাইকে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। সিট সমস্যার কারনে অনেক রোগী বাদ্য হয়ে প্রাইভেট হাসপাতাল ও ক্লিনিক গুলোতে যেতে হয়।
স্বাস্থ্য বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী পিয়াল ঘোষ বলেন, ঠিকাদারকে দ্রুত কাজ শেষ করার জন্য বলা হয়েছে। তবে, চিকিৎসা সেবার সুবিধার্থে ওয়ার্ড গুলোর কাজ শেষ কর গত সপ্তাহে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। বাকী কাজ শীঘ্রই শেষ হয়ে যাবে।
স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: গুনময় পোদ্দার জানান, সংস্কার কাজ চলমান এদিকে হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীসহ রোগী সংখ্যা বেশী তাই সমস্যা হচ্ছে কয়েকদিনের মধ্যে ওয়ার্ডগুলো রেডি হলে সমস্যা কেটে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, ডেঙ্গুর এ ভয়াবহ পরিস্থিতে জনসাধারনকে সচেতন হতে হবে। ডেঙ্গু উপসর্গ দেখা দিলে বাড়িতে না থেকে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
দৈনিক দেশতথ্য//এইচ//

Discussion about this post