নিজস্ব প্রতিবেদক:নেছারাবাদে শান্তিরহাট- কামারকাঠি একটি কার্পেটিং সড়কের কাজ নিম্নমানের ইট,খোয়া বিছিয়ে হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এলজিআরডি নির্মানাধীন ওই রাস্তাটি শান্তিরহাট বাজার থেকে পূর্ব কামারকাঠী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় হয়ে জগন্নাথকাঠি- ইদিলকাঠি সংযোগ সড়কে মিলিত হবে। দীর্ঘ এ সড়কটির কাজে কোন রকমের মাটি কেটে বালু ভরাট করে কয়েকদিন ফেলে রাখা হয়। এখন ওই নির্মানাধীন সড়কে নাম্বারবিহীন ইট দিয়ে এজিন করে রাস্তায় নিম্নমানের খোয়া বিছিয়ে রোলার দিয়ে কোন রকমের ডলা দিয়ে তড়িগড়ি করে প্রস্তুত নেওয়া হচ্ছে রাস্তার বাকি কাজের।
এমন সংবাদ পেয়ে সাংবাদিকরা গেলে রাস্তার ঠিকাদার ঘটনাস্থলে এসে নিম্মমানের খোয়ার কথা কিছুটা স্বীকার করেন। রাস্তার কাজের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের নাম ইফতি এন্টারপ্রাইজ। যার মালিক ভান্ডারিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মিরাজুল ইসলাম মিরাজ। স্থানীয় খলিলুর রহমান তার এক সহযোগী ইফতি এন্টার প্রাইজের কাছ থেকে কাজটি এনে নিজেদের দায়িত্বে সড়কের কাজ করছেন।
এলাকাবাসী জানান, এলাকার প্রভাবশালী খলিলুর রহমান কাজের উপ ঠিকাদার। আপনারা মালামাল দেখে বিবেচনা করুন। এটা কোন ইটের মধ্যে পড়ে কি না।
এলাকার স্থানীয় সুমন নামে এক ব্যক্তি অভিযোগ করেন, রাস্তার কাজ কেমন হচ্ছে আপনারা জানেন। দেখেন কেমন কাজ হচ্ছে। ৩নম্বর ইট দিয়ে রাস্তার কাজ চলছে। ঠিকাদার প্রভাবশালী লোক কে কথা বলবে তাদের বিরুদ্ধে।
এসময় খলিলুর রহমানের সহযোগী জাহীদ আকন কাজের স্থানে আসেন। এসময়, জাহীদ আকন খলিলুর রহমানকে ফোন দেন। তিনি এসে জানান মূল ঠিকাদারের কাছ থেকে এনে তিনি কাজ করছেন।
ইটের মান এতো খারাপ কেন? প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, এটা অনেক পুরানো কাজ। আর এখন ইটের দাম অনেক বেশি তাই। এ গুলোকে ইট বলা যায় কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই ইট গুলো একটু খারাপ পড়েছে। আজকে কাজের সাইটে নতুন ইট আসছে। বলে সেই ইট দেখাতে নিয়ে যান। কিন্তু পুরানো ইটের চেয়ে নতুন ইটের অবস্থা আরো বেশি খারাপ। ইট গুলো ভাঙা/গুড়া এমন কেন? জানতে চাইলে খলিল বলেন, ট্রলার থেকে তোলার সময়ই গুড়ো হয়ে গেছে। এসময় এলাকাবাসীর সাথে কথা বলতে চাইলে তারা ধীরে ধীরে সরে পড়েন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বলেন, এর আগে ব্রিজের অপর পারে যে কাজ হয়েছে সেখানেও পুরানো ইট ছিল সেই ইট ভেঙে রেখে, পঁচা ইট দিয়ে কাজ করা হয়েছে। রাস্তার পুরানো ইট গুলো কিছুটা ভাল তাই সেগুলো উপরে দেওয়ার জন্য রেখে দিয়েছেন। এলাকার এক বৃদ্ধ মহিলা বলেন, এগুলো ইট না পোড়া মাটি।
কথা বলার জন্য ঐ কাজের মূল ঠিকাদার মো. মিরাজুল ইসলামের ০১৭৫২২২২২২২ নম্বর ফোনে বার বার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী শেখ তৌফিক আজিজ বলেন, অভিযোগ পেয়ে আমি সোমবার সকালে কাজের সাইডে গিয়েছি। রাস্তার কিছু কিছু কাজ খারাপ হচ্ছে। আমি সেগুলো ঠিকাদারকে বলে এসেছি। এবং চিঠি আকারে কাজের ব্যাপারে তাদের সতর্ক করা হবে। ইতোমধ্য চিঠি প্রস্তুত হচ্ছে।
দৈনিক দেশতথ্য//এসএইচ//

Discussion about this post