জামালপুর সড়কের মলিকাডাঙা এলাকায় সড়কের পাশ ঘেঁষে দীর্ঘদিন ধরে ফেলা হচ্ছে পৌর এলাকার ময়লা-আবর্জনা। আবর্জনার স্তূপ ও দুর্গন্ধের কারণে এই রাস্তা দিয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে উঠেছে। এর ফলে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ বাড়ছে রোগ বালাই । এতে দুর্গন্ধের স্থান হিসেবে পরিণত হয়েছে এলাকাটি।
পৌর শহরের মলিকাডাঙা এলাকায় পৌরসভা নিয়ন্ত্রিত এই ময়লার ভাগাড় থেকে প্রতিনিয়ত দুর্গন্ধ বের হবার কারণে প্রতিদিন কয়েকটি ইউনিয়নের প্রায় কয়েক হাজার পথচারী দূষণের শিকার হচ্ছেন।
কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাননি বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা। পৌর কর্তৃপক্ষের দূষণের এই অত্যাচার থেকে মুক্তি চান এলাকাবাসী।
সরেজমিনে দেখা যায়, মেলান্দহ পৌর এলাকার মলিকাডাঙা এলাকায় রাস্তার পূর্ব পাশে ময়লার ভাগাড়। সেখান থেকে দক্ষিণ পাশে অবস্থিত একটি মসজিদ ও একটি মাদ্রাসা। চার পাশেই ঘনবসতি। সেই রাস্তায় চলাচল করে স্কুল ও কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা। নাক ও মুখ চেপে চলাচল করতে পথচারীদের। যার ফলে এখান দিয়ে যাতায়াতকারীদের চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, এই রাস্তায় নাক চেপে চলাচল করতে হয়। ময়লার দূর্গন্ধে আমাদের নানান ধরনের রোগ হচ্ছে। চার পাশের পরিবেশ দূষিত হয়ে পড়েছে। আমরা কয়েকবার পৌর মেয়রকে বিষয়টি জানিয়েছি এছাড়াও উপজেলা প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি কিন্তু কোন কাজে আসেনি। আমরা এর প্রতিকার চাই।
অই রাস্তায় চলাচলকারী ভ্যান চালক মফিজ মিয়া বলেন, আমার সবসময় এই সড়ক দিয়ে চলাচল করা লাগে। এই দূর্গন্ধে ভ্যান চালাইতে অনেক সমস্যা হচ্ছে। এক হাত দিয়ে নাক চেপে ধরে এই জায়গাটুকু পার হই। এই ময়লা গুলো যদি এখান থেকে সরানো হত তাহলে আমাদের চলাচলে সুবিধা হতো।
স্থানীয় বাসিন্দা শওকত মিয়া বলেন, আমার বাড়ির পাশেই পৌরসভার ময়লার ভাগাড়। এটার দূর্গন্ধে আমরা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছি। স্থানীয়রা প্রতিনিয়তই রোগাক্রান্ত হয়ে পড়ছে। আমরা মেয়র এবং ইউএনও কে অভিযোগও দিয়েছি তাতে কোন লাভ হয়নি। আমরা অতি দ্রুতই এর একটা সমাধান চাই।
এ বিষয়ে মেলান্দহ পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা শরীফুল ইসলাম ভূইঞা বলেন, পৌরসভার আধুনিক ডাম্পিং ষ্টেশনের কাজ চলছে । কাজ প্রায় শেষের দিকে শেষ হলেই ময়লা সেখানে ফেলা হবে ।
মেলান্দহ পৌরসভার মেয়র শফিক জাহেদী রবিন মুঠোফোনে জানান, এ বিষয়ে আমার কাছে কেউ অভিযোগ করেনি।
দৈনিক দেশতথ্য//এইচ/

Discussion about this post