কুষ্টিয়া কুমারখালী উপজেলার ১১নং চরসাদিপুর ইউনিয়ন থেকে রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের গাডী চালক মোঃ সম্রাট (২৮) এর ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। দুইদিন পূর্বে নিখোঁজ থাকা গাড়ি চালক সম্রাটের লাশ তারই বসের টয়োটা ল্যান্ড ক্রুজার গাড়ীর মধ্য থেকে উদ্ধার করা হয় বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশ।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মহসিন হোসাইন জানান, শনিবার সকাল ০৮ টার দিকে সাদীপুর ঘাট এলাকায় পরিত্যক্ত অবস্থায় সাদা রঙের একটি টয়োটা ল্যান্ড ক্রুজার গাড়ী দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে সংবাদ দেয়। সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গাড়ীর দরজা ভেঙ্গে তার বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত যুবক সম্রাট পাবনা জেলার ঈশ্বরদী থানার আলাস ক্যাম্প এলাকার বাসিন্দা। তিনি পাবনার ঈশ্বরদী রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে কর্মরত রাশিয়ান ঘওকওগঞ কোম্পানির পরিচালক ইউরি ফেদারোপ এর ব্যবহৃত ল্যান্ড ক্রুজার গাড়ী, রেজি নং: ঢাকা মেট্রো-ঘ-১৫-৪৭৪৮র চালক ছিলেন।
গত দুইদিন যাবত সাদিপুর ঘাটের নিকটে পরিত্যক্ত অবস্থায় গাড়ীটি ঘটনাস্থলে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে ছিল। শনিবার সকালে গাড়ী থেকে দুর্গন্ধ বের হলে স্থানীয় লোকজন টের পায়। পরে কুমারখালী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে গাড়ীর ভিতর থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায়গাড়ির ড্রাইভার সম্রাট এর লাশ উদ্ধার করে। নিহতের মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
সম্রাট গত দুইদিন যাবত নিখোঁজ ছিলেন। এবিষয়ে তার পরিবার গত ২৩ মার্চ পাবনার ঈশ্বরদী থানায় একটি জিডি করে। এরই প্রেক্ষিতে নিহত সম্রাটের বন্ধু মোমিনকে না পেয়ে তার স্ত্রী সীমা খাতুন(২৮) কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।
কুমারখালী থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) মহাসিন হোসেন জানান, ‘সম্রাট ও মোমিন দুইজন মিলে পালাক্রমে এই গাড়ীটির চালক হিসেবে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে কর্মরত ছিলেন। দু’জনের মধ্যে আর্থিক লেনদেন বা অন্যকোন বিষয়ে সৃষ্ট দ্বন্দের কারনে এই হত্যাকান্ড হয়ে থাকতে পারে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করছে পুলিশ।
খালিদ সাইফুল, দৈনিক দেশতথ্য,২৫ মার্চ ২০২৩