দলের তৃণমূল নেতাকর্মীদের জন্য লঞ্চ, ট্রলার, আবাসিক হোটেল রিজার্ভ করে দিয়ে নৈশ ভোজে আমন্ত্রণ জানালেন স্থানীয় আওয়ামীলীগ সভাপতি ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদের মনোনয়ন প্রত্যাশী মোঃ মাহবুবুর রহমান। ঈদের দ্বিতীয় দিন শুক্রবার রাতে পৌর শহরের কুমার পট্রি এলাকায় তৃণমূল নেতাকর্মীদের সম্মানে এ নৈশভোজের আয়োজন করেন তিনি। তবে উপস্থিতির সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় খাবারে স্বল্পতা দেখা দেয় বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।
এ সময় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন তিনি সহ তার বন্ধু উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি এসএম রাকিবুল হাসান। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দেশী বিদেশী ষড়যন্ত্র ও বঙ্গবন্ধু পরিবারের শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া মোনাজাত করা হয়। তবে মূল দলের অধিকাংশ নেতাকে এতে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়নি।
এদিকে তাদের পারিবারিক বাসভবনে একই সময়ে তার সহোদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও দলের অপর মনোনয়ন প্রত্যাশী অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ হাবিবুর রহমান দলের নেতাকর্মী ও পেশাজীবীদের সম্মানে নৈশভোজের আয়োজন করেন। এতে দুই ভাইয়ের মধ্যে অমিলের বিষয়টি ফাঁস হয়ে পড়ে। তবে এ নিয়ে তাদের বক্তব্য যে যার মত ঈদ উদযাপন করছে। এতে দোষের কিছু নেই। যার যেখানে অংশ নিতে ইচ্ছে করবে, তিনি সেখানে অংশ নেবেন।
রাঙ্গাবালী উপজেলা যুবলীগের একটি সূত্র জানায়, রাঙ্গাবালী যুবলীগ সভাপতি হুমায়ুনের নেতৃত্বে ১টি লঞ্চ, ২টি ট্রলার রিজার্ভ করে নেতাকর্মীরা এসে মাহবুবের আমন্ত্রণে অংশ নিয়েছেন। রাতে তাদের থাকার জন্য শহরের রুবান আবাসিক হোটেল রিজার্ভ করা হয়েছে। তবে আমন্ত্রণ পেয়ে এলেও তারা খেতে পারেন নি, খাবারে শর্ট পড়েছিল বলে জানায় সূত্রটি।
সূত্রটি আরও জানায়, জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনে দুদকের মামলা সহ নানাবিধ কারণে সাবেক প্রতিমন্ত্রী, তিনবারের এমপি মাহবুব কে দলীয় পথ থেকে কেন্দ্রে অব্যাহতি সুপারিশ পাঠানোর পর অস্তিত্ব রক্ষায় তিনি এ আয়োজন করেন। এর আগে সম্প্রতি তিনি শহরে শোডাউন করেছেন।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মোতালেব তালুকদার দলের মনোনয়ন প্রত্যাশী দুই ভাইয়ের নৈশ ভোজের অনুষ্ঠান নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
খালিদ সাইফুল, দৈনিক দেশতথ্য, ১জুলাই ২০২৩