জেলার আদিতমারী উপজেলার কমলাবাড়ি ইউনিয়নের ক’জন কৃষকের জমির ধান পেকেছে। অসময়ে এই ধান পাকাতে হৈ চৈই পড়েগেছে। ধানের নাম দিয়েছে খাটো চায়না। উচুঁ জমিতে স্বল্প সেচে এই ধান চাষাবাদ করা যায়। এই পাকা ধান বাজারে আসলেই চালের বাজাওে দাম হ্রাস পাবে। কৃষক ধানের ন্যায্যদাম পেয়ে দারুণ খুশি।
কৃষিতে বৈচিত্রতা আনতে কৃষক এই আগাম জাতের ধান চাষ করেছে। আগাম জাতের ধান চাষাবাদ করে কৃষক ধানের দাম নিশ্চিত করেছে। সেই সাথে আগামজাতের ধান কাটামাড়াই করতে শ্রমিক সংকটে পড়তে হবে না। এ সময় চালের বাজার চড়া থাকায় ধানের বাজার দাম পাওয়া যাবে।
কৃষক রমিজ উদ্দিন জানান, গত কয়েক বছর ধরে ধান কাটামারাইয়ের সময় এক সাথে শুরু হয়। তখন ধানকাটা শ্রমিকের অভাব বা সংকট দেখা দেয়। আবার ধানের বাজারে থাকে উল্টোচিত্র। থাকে না দাম। তাই এক বিধা জমির ধান কাটতে মাইর করতেই খরচ উঠে না। ফলে ধান চাষ অলাভজন হয়ে উঠেছে। কৃষক নিজের খাদ্যাচাহিদা পুলণে বাধ্য হয়ে ধানচাষ করছে।
এই সংকট হতে উত্তরণে কৃষক নিজেই ধান চাষে বা কৃষি কাজে এনেছে বৈচিত্রতা। কৃষক পরিবার গুলো আগামজাতের অগ্রিম পাকে এমন ধান চাষাবাদ করেছে। এই ধান চাষে স্বল্প সেচ প্রয়োজন হয়। খরা সহিষ্ণু এই ধান।
এই ধান চাষে সাফল্য আসায় কৃষক ধান চাষে লাভবান হবে । আগাম ধান চাষের কারণে কৃষি শ্রমিকরাও সারা বছর কাজ পাবে। এই সাথে কৃষকের ধান কেটে আনার ক্ষতি ঝুঁকি হ্রাস পাবে। এই আগাম জাতের ধান মাত্র ৯০ দিনের রোপন কর্তণ করা য়ায়।
কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল হামিদ জানান, আমাদের দেশের কৃষক অবশ্যই কৃষিতে বৈচিত্রতা এনেছে। কৃষি ও কৃষক দেশকে খাদ্য ঘাটতি পূরণে মাঠ পর্যায়ে কাজ করে সাফল্য এনে দিয়েছে। তবে অগ্রিম ধান পাকায় পাখি কুলের আক্রমণ থাকে একটু বেশী। পাখপাখালি তাড়াতে মাঠে সার্বক্ষণিক পাখি তাড়াতে কৃষককে পাহাড়ায় থাকতে হয়।
এবি//দৈনিক দেশতথ্য//সেপ্টম্বর ২২,২০২২//

Discussion about this post