শেখ সুদীপ্ত শাহীন, লালমনিরহাট:
লালমনিরহাটে গত দু’সপ্তাহে জেলার বিভিন্ন এলাকায় গলা কাটা লাশ উদ্ধার, প্রতিবন্ধির রিক্সা ও গরু চুরি, দোকান ও বাড়িতে চুরির মতো বেশ কিছু ঘটনা ঘটেছে। মোগলহাট ও মহেন্দ্রনগরে অপহরণের পর নির্মম নিযার্তন করে অর্থ আদায়েরও ঘটনা ঘটেছে। প্রতিরাতে জুয়ার আসর আর সদরের টিটিসি রোড়ে ছিনতাই এখন নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। এসব ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষা সংশ্লিষ্ট বাহিনীর ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ বলে মনে করছেন কেউকেউ।
জেলার হাতীবান্ধা, কালিগঞ্জ ও সদর থানায় আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি চরম অবনতি ঘটেছে বলে উদ্বেগ জানিয়েছেন পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়রা। এই তিন থানায় ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান ও বাড়িতে ঘটছে একের পর এক দূর্ধষ চুরির ঘটনা। ৩১ জানুয়ারি রাতে লালমনিরহাট সদর উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়নের ২নং ফুলগাছ (ভারালদা) বাজারে মফিজুলের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে দুর্ধষ চুরি ঘটনা ঘটে। কয়েক দিন আগে একই ইউনিয়নের কোদালখাতা (সুভাষ মাঝি)র মার্কেটের ইসরাইলের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চুরি হয়। এদিকে বুধবার ২৪ জানুয়ারি লালমনিরহাট সদর উপজেলা কৃষক লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ হযরত আলীর ফুলগাছের বাড়িতে দুর্ধর্ষ সিঁদেল চুরির ঘটনা ঘটে। গোকুন্ডা ইউনিয়নের মন্ডলের হাটের মোঃ ইয়াকুব আলীর ও খালিশার বিশ্বনাথের গরু চুরি হয়।
এদিকে বুধবার (৩১ জানুয়ারি) বিকালে মোগলহাটের ইটাপোতা (মেঘারাম) গ্রামের গরু-মহিষ ব্যবসায়ী মোঃ হাতেম আলী বড়বাড়ী হাটে মহিষ কিনতে গিয়ে অপহৃত হয়। দু’দিন পর শুক্রবার মোঃ হাতেম আলীকে টাঙ্গাইলের একটি তেল পাম্পের কাছে অচেতন অবস্থায় পাওয়া গেছে বলে স্বজনদের কাছে খবর এসেছে। হাতীবান্ধায় ভুট্টাক্ষেতে মুন্ডবিহীন লাশ মিলেছে। তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল। কালীগঞ্জে দুই প্রতিবন্ধির রিক্সা ও গরু চুরি হয়েছে। মহেন্দ্রনগরে এক যুবককে ধরে নিয়ে এসে র্নিমম নির্যাতন করে অর্থ আদায় করা হয়। এসব ঘটনার সুষ্ঠু আইনী পদক্ষেপ নেয়া হয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে।
এসব প্রসঙ্গে পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো সুস্পষ্ট বক্তব্য দেয়া হয়নি।
দৈনিক দেশতথ্য//এইচ//