জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার সির্ন্দুনা ইউনিয়ন পরিষদের উপ-নির্বাচনে সহিংসতায় দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ হমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছে। আজ সোমবার সন্ধ্যার পর হতে পুরো নির্বাচনী এলাকায় একজন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের নেতৃত্বে পুলিশ টহল জোরদার করা হয়েছে। পরিস্থিতি এখন কিছুটা শান্তি রয়েছে। আগামী ২৯ ডিসেম্বর এই ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
জানা গেছে, শনিবার ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে উপ-নির্বাচনে তিনজন প্রার্থী প্রতিদ্ব›িদ্বতা করছে। এরা হচ্ছে – আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী নুরল আমিন (নৌকা), স্বতন্ত্র প্রার্থী আরিফুল ইসলাম আরিফ (আনারস) ও জাতীয় পার্টি সমর্থিত প্রার্থী তৌহিদ হাসান খান মুকুল (লাঙ্গল)। স্বতন্ত্র প্রার্থী আরিফুল ইসলাম আরিফের অভিযোগ, ‘নির্বাচনী প্রচারণায় বাঁধা দিচ্ছে আওয়ামী লীগ প্রার্থী নুরল আমিনের লোকজন। দুই দিনে তার ছেলে সিয়ামসহ ২০-২৫ জন আমার সমর্থকদের ওপর কয়েক দফা চোরাগুপ্ত হামলা চালায়।
এতে আমার কয়েকজন সমর্থক আহত হয়। এ সময় এক সমর্থকের বসতবাড়ি ভাঙচুর করা হয়।’ রবিবার রাতে প্রার্থীর নেতৃত্বে তার ওপর হামলা হয়। সকল কে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। অভিযোগ অস্বীকার করে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী নুরল আমিন বলেন, রবিবার রাতে পরিকল্পিতভাবে স্বতন্ত্র প্রার্থী আরিফের লোকজন তাদের ওপর হামলা চালায়। এতে তিনিসহ কয়েক জন সমর্থক নেতা কর্মী আহত হয়েছে।’ হাতীবান্ধা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) আনারুল ইসলাম জানান, দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় আহত বেশ ক’ জন হাসপাতালে ভর্তি আছে। ক’ জন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছে।
হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহা আলম জানান, উভয়ে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ দিয়েছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নজির উদ্দিন জানান, সিন্দুর্ণা ইউনিয়নে আচরণ বিধি কোন প্রার্থী ভঙ্গ করতে না পারে তা দেখতে একজন ম্যাজিষ্টেটের নেতৃত্বে সার্বক্ষণিক কাজ করতে একজন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট। আজ সোমবার সন্ধ্যার পর হতে তিনি নিজেও নির্বাচনী এলাকায় ঘুওে দেখছেন। এখন পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ রয়েছে। উল্লেখ্য, খতিব চেয়ারম্যানের অকাল মৃত্যুতে ইউপি চেয়ারম্যানের পদটি শূন্য হয়ে যায়।

Discussion about this post