Print Date & Time : 8 May 2025 Thursday 12:29 am

লালমনিরহাটে উর্বর জমির মাটি পুড়িয়ে ইট তৈরির অভিযোগ

লালমনিরহাটে যত্রতত্র অসংখ্য ইট ভাটা স্থাপন হয়েছে। এসব ইট ভাটা স্থাপনে নূন্যতম কোন নিয়মনীতি মানা হয়নি। ইট তৈরিতে ব্যবহার হচ্ছে টপ সয়েল ( উর্বর মাটির উপরিভাগ)।  এভাবে চলতে থাকলে আগামী ১০/১২ বছর পর ফসল আবাদ  অর্ধেকে নেমে আসবে। প্রধানমন্ত্রী নির্দেশে টপ সয়েল কাটা ও ভাটা উচ্ছেদ অভিযান হয়। মাত্র ২টি ভাটা উচ্ছেদ  ও ৪ টি মাটি ভর্তি ট্রাক্টর আটক করে অভিযান শেষ করা হয়েছে। জেলা ৫ টি উপজেলায়  বর্তমানে অবৈধ ইটভাটার সংখ্যা শতাধিক।জেলা প্রশাসনের তালিকায় ৫২ টি। তার মধ্যে একটি ইট ভাটার বৈধতা  রয়েছে বলে জানা গেছে। 

জানা গেছে, একটি ইট ভাটা বছরের এক  ৬০ লাখ হতে এক কোটি ইট তৈরি হয়। এই ইট তৈরির প্রধান কাচামাল চাষের জমির উপরিভাগের উর্বর মাটি।  একটি ভাটায় প্রতিবছর প্রায় ১০ একর ফসলের জমির উপরিভাগের মাটি প্রয়োজন হয়।  যে চাষের জমি হতে মাটি উত্তোলন করা হয়। সেই  জমিতে ২৫/৩০ বছর ফসল ভাল হয় না। লালমনিরহাট জেলার ৫ টি উপজেলার প্রতিটি ইট ভাটা ফসলি উর্বর জমির দোলায় অবস্থিত।  কারন খুব সহজে মাটি প্রাপ্যতা নিশ্চিত হয়। ভাটা নির্মাণের সরকারী বিধি এলজিইডির গ্রামীণ পাকা সড়কের আধা কিঃমিঃ এর মধ্যে স্থাপন করা যাবে না।  ইট ভাটা কোন চাষযোগ্য উর্বর জমিতে স্থাপন করা যাবে না। পরিবেশ দপ্তরের ছাড়া পত্র নিতে হবে। বাস্তবতা হচ্ছে  লালমনিরহাট জেলায় কোন ইট ভাটা এই নিয়ম মেনে হয়নি। উর্বর জমি পরিনিত হচ্ছে অনুর্বর। এতে করে জেলায় খাদ্য শস্য উৎপাদন ঝুঁকির মুখে পরছে। এভাবে টপ সয়েল বা উর্বর উপরিভাগের মাটি কাটতে থাকলে ১০/১৫ বছর পরে ফসল  উৎপাদন কষ্টসাধ্য হয়ে পরবে। হ্রাস পাবে খাদ্য শস্য উৎপাদন।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে,  লালমনিরহাট জেলা সদরের মোগলহাটে  দুইটি অবৈধ ইট ভাটার চিমনী গুড়িয়ে দিয়ে উচ্ছেদ করা হয়েছে। টপ সয়েল বা ফসলি উর্বর জমির উপরিভাগের মাটি কেটে পরিবহনের দায়ে ৪ টি ট্রাক্টর আটক করে সদর থানায় জমা দেয়া হয়েছে।

এবি//দৈনিক দেশতথ্য//ডিসেম্বর ১০,২০২৩//