Print Date & Time : 20 April 2025 Sunday 6:47 pm

লালমনিরহাটে কলেজ ছাত্রীকে গণধর্ষণ, আটক ৬

শেখ জাহাঙ্গীর আলম শাহীন, লালমনিরহাট :
জেলার হাতীবান্ধায় এক কলেজ ছাত্রীকে গণ-ধর্ষণের ঘটনায় ৬ ধর্ষককে আটক করা হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার ওই উপজেলার নওদাবাস ইউনিয়নের শালবন এলাকায় এ গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে।

ওই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আজ শনিবার ৬ যুবক কে পুলিশ আটক করেছে । এরা হলেন, একই উপজেলার দক্ষিন গোতামারী এলাকার দুলাল হোসেনের পুত্র আব্দুর ছাত্তার (৩৫), দইখাওয়া বাজার এলাকার সুলতান আহম্মেদের পুত্র রোকন(৩২), ৫ নং ওয়ার্ডের আইয়ুব আলীর ছেলে রাকিবুল(১৯), একই এলাকার খবির আলীর ছেলে আল আমিন(১৯), নজিমুদ্দিনের ছেলে রতন মিয়া সাবু(২১), নওদাবাস এলাকার ওছমান গনির পুত্র সুলতান(৩৮) ।

হাতীবান্ধা থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার উত্তর গোতামারী এলাকার এক কলেজ ছাত্রীর সাথে দইখাওয়া বাজারের কসমেটিক ব্যবসায়ী আব্দুস ছাত্তারের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। ওই কলেজ ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করেন আব্দুর সাত্তার। বন্ধুকে দিয়ে সেই ধর্ষণের দৃশ্য ভিডিও করা হয়। সেই ভিডিও দিয়ে ভয় দেখিয়ে আব্দুর সাত্তার ও তার এক বন্ধু ওই কলেজ ছাত্রীকে ফের ধর্ষণ করে। গতকাল বৃহস্পতিবার ওই কলেজ ছাত্রীকে নওদাবাস ইউনিয়নের শালবনে বেড়াতে নিয়ে যায় প্রেমিক আব্দুস ছাত্তার। সেখানে প্রেমিক আব্দুস ছাত্তার পূর্বের ধর্ষণের দৃশ্য ফেসবুকে প্রচারের ভয় দেখিয়ে পুনরায় ধর্ষণ করে। এরপর একে একে আব্দুর ছাত্তারের বন্ধুরা ওই কলেজ ছাত্রীকে গণধর্ষণ করে। সেই ধর্ষণের দৃশ্য ভিডিও করে রাখে তারা। কিন্তু এ সময় ওই কলেজ ছাত্রী অসুস্থ হয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। ধর্ষকরা ঘটনা বেগতিক দেখে তাকে শালবনে রেখে পালিয়ে যায়। শালবনে পাতা কুড়াতে আসা কয়েক কিশোরী মেয়েটিকে দেখতে পেয়ে গ্রামবাসীকে খবর দেয়। পরে তাকে উদ্ধার করে মেয়ের পরিবারের কাছে পৌচ্ছে দেয়। পরিবারের স্বজনরা চিকিৎসার জন্য মেয়েকে হাসপাতালে ভর্তি করেছে।
হাতীবান্ধা থানার ওসি মাহমুদুন-নবী জানায়, একাদশ শ্রেনীর কলেজ ছাত্রটিকে ভয় দেখিয়ে প্রথম ধর্ষণ করে আব্দুস ছাত্তার ৩০ এপ্রিল, দ্বিতীয় ধর্ষণ হয় ৬ অক্টোবর ও তৃতীয় দিন ধর্ষণ করে ৩ অক্টোবর। মেয়েটি সহজ সরল বয়স খুব কম। বর্তমানে মেয়েটিকে উদ্ধার করে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আসামিদের আগামিকাল রবিবার আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হবে। এই ধর্ষকদের দুই জন আলামিন ও সুলতান শালা-দুলা ভাই।